কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নায়িকা পপি ও নির্মাতা কামরুজ্জামান কামু। ছবি: সংগৃহীত ও প্রিয়.কম

নির্মাতাকে ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার আহ্বান পপির

মিঠু হালদার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০১৯, ১৫:৪৪
আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯, ১৫:৪৪

(প্রিয়.কম) সিনেমা মুক্তির সময়জ্ঞান, প্রাপ্য পারিশ্রমিক না পাওয়া, নাটককে সিনেমা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া, একজন শিল্পীকে তার চরিত্র অনুযায়ী দর্শক উপযোগী না করাসহ বেশকিছু কারণে ‘দ্য ডিরেক্টর’ ছবির নির্মাতা কামরুজ্জামান কামুর ওপর ভীষণ চটেছেন এ ছবির অন্যতম অভিনয়শিল্পী নায়িকা পপি। সম্প্রতি আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানালেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি। আর নির্মাতা কামু বলছেন, পপি তার বিরুদ্ধে মামলা করলে তিনিও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

১৭ জুন, সোমবার দুপুরে পপি প্রিয়.কমকে জানান, তিনি মামলা করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। তবে নির্মাতাকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর না করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ৫ জুন ঈদুল ফিতরের দিনে রাতে প্রেক্ষাগৃহে নয়, সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে সান বিডিটিউব নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে। এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি দর্শক সিনেমাটি দেখেছেন। ছবিটি মুক্তির পর এক প্রশ্নের জবাবে পপি বলেন, প্রতারণার অভিযোগে নির্মাতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবেন।

এ বিষয়ে পপি বলেন, ‘মরা গরু নিয়ে টানাটানি করে লাভ কী? আইনি পদক্ষেপ নিয়ে কী হবে? উনি (কামরুজ্জামান কামু) যে কর্ম করেছেন, সে কর্মের ফল তো উনি পাচ্ছেন। নাটক কখনো সিনেমা হতে পারে না। সিনেমার তো আলাদা একটা ভাষা আছে। প্যান্টের কাপড় দিয়ে নিশ্চয়ই কোর্ট বানানো যাবে না। উনি দুঃসাহস দেখিয়েছেন একটি নাটক বানিয়ে সেটাকে সিনেমা হিসেবে স্ট্যাবিলিস করার!’

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এ নায়িকা মনে করেন, সাধারণ দর্শক বোকা নয়। যার কারণে নাটক বানিয়ে সেটিকে চলচ্চিত্র হিসেবে দর্শকদের কাছে নিয়ে গেলে, তারা ঠিকই মুখ ফিরিয়ে নিবে।

পপির ভাষ্য, ‘এটা যদি সিনেমা হয়ে থাকে তিনি তো আমাকে ন্যায্য পারিশ্রমিক দেন নাই। যদি এটা সিনেমা হতো, তাহলে তো ছবিটা সিনেমা হলেই রিলিজ পেত। একটা মুভি রিলিজের পর যদি সেটা না চলে; তাহলে কিন্তু আল্টিমেটলি প্রভাবটা গিয়ে পড়ে ছবির প্রধান পাত্র-পাত্রীর ওপর।’

ছবিটি মুক্তির আগে প্রিয়.কমের সঙ্গে আলাপকালে কামরুজ্জামান কামু জানিয়েছিলেন, ‘দ্য ডিরেক্টরে’র যে অ্যাপ্রোচ, যে ভঙ্গি, সেটা চলমান প্রতিষ্ঠান কিংবা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে ম্যাচ করেনি, যার ফলে দেশের হল মালিকরা ছবিটি তাদের হলে প্রদর্শন করতে চাননি। সে কারণে নির্মাণের পর প্রায় সাত বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি সিনেমাটি বিকল্প উপায়ে মুক্তি দিয়েছেন।

আবার সিনেমাটি মুক্তির আগে প্রচারের জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কারও কাছ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা পাননি বলেও অভিযোগ করেছিলেন নির্মাতা। এ বিষয়ে পপি বলেন, ‘তিনি তো আমার সঙ্গে কথাই বলেননি। কারণ তিনি বানিয়েছেন নাটক! এখন যেহেতু মুভি হিসেবে বিষয়টাকে প্রচার করছেন; তার উচিত আমাকে সিনেমার পারিশ্রমিক দেওয়া।’

‘একজন আর্টিস্টকে প্রোপার ইউটিলাইজ না করে তাকে ধ্বংস করার অধিকার তো কারও নাই। বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যেখানে আর্টিস্টকে মিসইউজ করা সম্ভব। পৃথিবীর আর কোথাও সম্ভব না। অন্যান্য দেশে আর্টিস্টকে গভর্নমেন্টও মূল্যায়ন করে, সেই ইন্ডাস্ট্রির মানুষ ও পাশাপাশি সাধারণ মানুষও করে।’

সামনের দিনগুলোতে আরও সাবধানী হয়ে পথ চলবেন পপি। তিনি বলেন, ‘একটা শিল্পী তৈরি হতে তো আসলে অনেক সময় লাগে। এই ধরনের কাজ যখন কোনো নির্মাতা করে, তখন তো আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। সময় বলে তো একটা বিষয় আছে। সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়। মিসইউজ করলে তো সেই আর্টিস্টের ক্যারিয়ারটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’

এ নিয়ে যোগাযোগ করা হয় কামরুজ্জামান কামুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি আসলে এসব বিষয় নিয়ে মোটেই চিন্তিত না। এখন পরবর্তী প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত আছি। পপি মামলা করলে আমিও আইনি পদক্ষেপ নিবো। আমি তো কোনো অপরাধ করিনি যে সে আমার বিরুদ্ধে মামলা করবে।’

প্রিয় বিনোদন/রিমন