কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে মামা মেহবুব হাসান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জয় চান পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজের মামা!

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০১৯, ১৫:২৬
আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯, ১৫:২৬

(প্রিয়.কম) আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। এরপরই মাঠে গড়াচ্ছে ভারত-পাকিস্তান মহারণ। বাংলাদেশ সময় ৩টা ৩০ মিনিটে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। এই ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার কোনো কমতি নেই দুই দেশের ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে। যে যার দেশের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছেন। কিন্তু উল্টো পথে হাঁটছেন পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের মামা। কেননা ভারত-পাকিস্তান মহারণে বিরাট কোহলিদের জয় চান তিনি।

১৬ জুন, রবিবার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচে কোহালির জন্য গলা ফাটাবেন সরফরাজের মামা মেহবুব হাসান। সংবাদমাধ্যম এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। শুধু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেই নয়, টুর্নামেন্টজুড়ে ভারতের সাফল্য কামনা করে শিরোপা জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তান অধিনায়কের মামা।

পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সরফরাজের মামা আপাদমস্তক ভারতীয় সমর্থক। কারণটাও বেশ পরিষ্কার। জন্মসূত্রে সরফরাজের মামা একজন ভারতীয় নাগরিক। ভারতের উত্তর প্রদেশের এটাওয়াতে থাকেন তিনি।

ভারতকে সমর্থন দেওয়ার প্রসঙ্গে খোলাখুলিই কথা বলছেন মেহবুব, ‘সরফরাজ পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নামবে। কিন্তু আমি ও আমার ছেলেরা সেই শুরু থেকেই ভারতকে সমর্থন করে আসছি। এবারও ভারতের হয়েই গলা ফাটাবো। আমি আশা করি পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতই জয় পাবে।’

ভারতকে সমর্থন করলেও ভাগ্নে সরফরাজের ভালো পারফরম্যান্স আশা করছেন মেহবুব হাসান। কিন্তু তিনি এটাও মানছেন, সরফরাজ ভালো খেললেও ম্যাচ ঠিকই জিতবে ভারত। তার ভাষ্য, ‘আমি দোয়া করি ম্যাচে আমার ভাগ্নে ভালো খেলুক। আর যাই হোক, সে আমার ভাগ্নে। এটা কোনো বিষয় না যে সে পাকিস্তানের হয়ে খেলছে। শুধু চাচ্ছি সে ভালো খেলুক। কারণ যদি সে ভালো খেলতে থাকে, তাহলে অধিনায়কত্ব তার কাছেই থাকবে। তবে বিশ্বকাপ জিতবে আমাদের ভারতই।’

জন্মসূত্রে এটওয়ার বাসিন্দা মেহবুব। তার বোন আকিলা বানু সরফরাজের মা। এটাওয়ার মেয়ে আকিলাকে বিয়ে করেছিলেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ। এখন পর্যন্ত তিন বার ভাগ্নের সঙ্গে দেখা হয়েছে মেহবুবের। ভিসা সমস্যার কারণেই মূলত তাদের সঙ্গে খুব একটা দেখা হয় না বলে জানিয়েছেন মেহবুব।

দেখা না হলেও দুই পরিবারের মধ্যে ফোনে নিয়মিত যোগ রয়েছে বলে জানান মেহবুব। ১৯৯১ সালে চার বছর বয়সে মামার বিয়েতে মায়ের সঙ্গে এটাওয়া এসেছিলেন সরফরাজ আহমেদ। এর ২৪ বছর পর মামা-ভাগ্নের দেখা হয়েছিল ২০১৫ সালের জুনে! সেবার করাচিতে ভাগ্নে সরফরাজের বিয়েতে গিয়েছিলেন মামা। সেই স্মৃতি উল্লেখ করে মেহবুব বলেন, ‘সেবার আমরা শুধু ভাগ্নের বিয়ের ভোজই খেয়ে আসিনি। করাচি থেকে লাহোরে গিয়ে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সপরিবারে ওর খেলাও দেখেছি।’

শেষবার তাদের দেখা হয়েছে ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন। সেবার চণ্ডীগড়ে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে ভাগ্নের দেখা পেয়েছিলেন জানিয়ে মেহবুব বলেন, ‘ম্যাচের আগের দিন টিম হোটেলে সরফরাজের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। দেখা করে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছি। খেলার পর মিষ্টিও পাঠিয়েছিলাম। ভাগ্নে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ভাবলেও আমার গর্ব হয়।’

প্রিয় খেলা/আশরাফ