কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ওয়ার্নারের কাছ থেকে উপহার পেয়ে আনন্দে আটখানা অস্ট্রেলিয়ার ওই খুদে ভক্ত। ছবি: সংগৃহীত

স্ত্রীকে কৃতিত্ব ওয়ার্নারের, ম্যাচসেরার পুরস্কার দিলেন খুদে ভক্তকে (ভিডিও)

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০১৯, ১৭:৪২
আপডেট: ১৩ জুন ২০১৯, ১৭:৪২

(প্রিয়.কম) ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দ্বাদশ আসর থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। বিশ্বকাপের মঞ্চেও সেই ফর্মটা ধরে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি এই ওপেনার। বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বল টেম্পারিংয়ের দায়ে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরা ওয়ার্নার।

চতুর্থ ম্যাচেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ওয়ার্নার। বুধবার (১২ জুন) পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এদিন ১১১ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১০৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। ব্যাট হাতে এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কারটি এক খুদে ভক্তকে দিয়ে দেন তিনি। এরপর থেকেই প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন ওয়ার্নার।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে ভক্ত-সমর্থকদের অটোগ্রাফ দেন ওয়ার্নার। এ সময় এসময় এক কিশোর ভক্তকে অটোগ্রাফ দিয়ে তার সঙ্গে ছবি তোলেন তিনি। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারটিও ওই ভক্তকে দিয়ে দেন বাঁহাতি এই অজি ওপেনার। প্রিয় তারকার কাছে থেকে এমন আকস্মিক উপহার পেয়ে আনন্দে আটখানা হয়ে পড়ে ওয়ার্নারের ওই খুদে ভক্ত।

ওয়ার্নারের কাছ থেকে এমন উপহার পেয়ে ওই অজি বালক বলে, ‘অসাধারণ অনুভূতি। ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এটি পাওয়া দারুণ ব্যাপার। আমি এখানে দেশের পতাকা উড়াচ্ছিলাম। ওয়ার্নার এখানে এলো এবং আমাকে পুরস্কারটি দিয়ে দিল। সত্যিই তাকে অনেক পছন্দ করি।’

এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পুরো কৃতিত্ব স্ত্রী ক্যানডিস ওয়ার্নারকে দিয়েছেন ওয়ার্নার।

তিনি বলেন, ‘সে (ক্যান্ডিস) আমার শক্তি। নির্বাসনের প্রথম ১২ সপ্তাহ আমাকে বিছানা ছেড়ে বাইরে বের হতে আমাকে সহায়তা করেছিল। সময়মতো রানিং ও অনুশীলনে তাগিদ দিত। আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে অনুপ্রেরণা দিত সে, যেন আমি চিরচেনা রূপে ক্রিকেটে ফিরতে পারি।’

ওয়ার্নার আরও বলেন, ‘আমি বাসা থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি। আমার প্রিয়তমা ও শিশুরা আমাকে আগলে রেখেছে। সে (ক্যান্ডিস) অদম্য মনের অধিকারিণী। আমার জন্য বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছে। ক্ষুধার্ত থেকেছে এবং কঠোর পরিশ্রম করেছে।’

প্রিয় সংবাদ/কামরুল