প্রতীকী ছবি
বিটিআরসির গণশুনানি: ভাস, ইন্টারনেট নিয়ে অভিযোগ বেশি
আপডেট: ১২ জুন ২০১৯, ১৮:৫৭
(প্রিয়.কম) নতুন সিম কেনার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের অজান্তে চালু হচ্ছে ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস বা ভাস সেবা। কেটে নেওয়া হচ্ছে ৪৮টাকা। আবার তিনবার ভাস সেবার জন্য কেটে নেওয়া হচ্ছে সাতবারের টাকা। বিভাগীয় শহরগুলোতে পরেই থাক, রাজধানীতেই মিলছে না ইন্টারনেটের স্পিড।
১২ জুন, বুধবার রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বিটিআরসি আয়োজিত গণশুনানিতে অংশ নিয়ে প্রশ্নের পাশাপাশি এমন অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রাহকেরা।
গণশুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় ১৬৫ জনকে। এদের মধ্যে প্রশ্ন করার সুযোগ পান ১৫জন। অধিকাংশ গ্রাহকই ভাস ও ইন্টারনেট সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানান।
প্রশ্নকারীদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম নামে এক গ্রাহক জানান, তিনি একটি ভাস সেবা তিনবার নিয়েছেন। কিন্তু তার কাছ থেকে ৭ বার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করেও মেলেনি সদ্বউত্তর।
আতাউর রহমান নামে অপর এক গ্রাহক জানান, তিনি নতুন একটি সিম কেনেন। সিম কেনার পর তার সিম থেকে একাধিকবার কেটে নেওয়া হয়েছে টাকা। পরে তিনি জানতে পারেন ওই সিমে ভাস সার্ভিস চালু করা ছিল।
আব্দুস সালাম নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, তিনি প্রতি সেকেন্ড পালসের প্যাকেজ কিনে কথা বললেও অতিরিক্ত টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।
গণশুনানিতে বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের পক্ষপাতিত্ব করেছে বলে অভিযোগ তুলে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘প্রায় তিন বছর পূর্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানির অভিযোগ আজ কেন প্রকাশ করা হচ্ছে? বিটিআরসি’র গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের নিয়ম থাকলেও বিটিআরসির কেন এ ধরণের বাধ্যবাধকতা নেই? সেই সঙ্গে আজ গ্রাহকরা অপারেটরদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন, তার পক্ষে অপারেটররা মতামত না দিয়ে কমিশন কেন তাদের পক্ষপাতিত্ব করছে?’
মহিউদ্দিন আহমেদ ভয়েস কলের মূল্যবৃদ্ধি, এমএনপি’র ডিপিং চার্জ, ফাইভজি নিয়ে গ্রাহকদের মতামত নেওয়া হয়েছে কিনা? ইত্যাদি বিষয়ে আরও বেশ কিছু প্রশ্ন করেন।
এ ছাড়াও গণশুনানিতে উপস্থিত গ্রাহকেরা ভয়েস মেইল সংক্রান্ত সমস্যা, ইন্টারনেট প্যাকেজ, কলড্রপ, নেটওয়ার্ক বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন, সাইবার অপরাধ, মোবাইলফোনে হুমকি, ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপত্তা, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, ফাইভ জি, মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি, মোবাইল অপারেটরদের কলসেন্টারের মাধ্যমে সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য টেলিকম সেবাপ্রদানকারী লাইসেন্সিদের সেবা সম্পর্কিত সমস্যার কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
গ্রাহকদের এসব প্রশ্নের উত্তরে বিটিআরসি সুস্পষ্ট কোনো উত্তর না দিলেও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে মতামত দেন।
গণশুনানিতে বিটিআরসির লাইসেন্সধারী বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, কমিশনার (স্পেকট্রাম) মো. আমিনুল হাসান, কমিশনার (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস) মো. রেজাউল কাদের, কমিশনার (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস) প্রকৌশলি মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এবং কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মহাপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২৪ মে ৩ জুন পর্যন্ত বিটিআরসির ওয়েবসাইটের নিবন্ধনের মাধ্যমে ২০২ জন গ্রাহক মোট এক হাজার ৩১৯ প্রশ্ন/অভিযোগ/মতামত কমিশনকে অবহিত করে।
প্রিয় প্রযুক্তি/কামরুল