কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (পুরাতন)। ফাইল ছবি

সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পুকুর থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ জুন ২০১৯, ১২:৫০
আপডেট: ১২ জুন ২০১৯, ১২:৫০

(প্রিয়.কম) পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারের পুকুর থেকে সালোয়ার কামিজ পরিহিত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ সময় একজোড়া স্যান্ডেল, একটি মোবাইল সেট ও একটি ভ্যানেটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটন করা না গেলেও তার মরদেহ উদ্ধারের ঘণ্টাখানেক আগে নারীর কণ্ঠে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনেছেন স্থানীয়রা। মরদেহ উদ্ধারের পরপরই অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে আশপাশের মোট ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

১১ জুন, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পুকুরটি কারাগারের মসজিদের পাশে ডিআইজি কোয়ার্টার্সসংলগ্ন সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত। তবে মসজিদ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। যে কেউ ওই পুকুরে অজু করতে যেতে পারতেন। আশপাশে কয়েকটি ঘরও আছে। সেখানকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, আশপাশের লোকজন আনুমানিক রাত ১০টা ২০ মিনিট থেকে ১০টা ২৫ মিনিটের মধ্যে পুকুর পাড়ের কাছ থেকে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনতে পেয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পর কয়েকজন এসে মরদেহটি পুকুরে ভাসতে দেখে থানায় খবর দেন।

এদিকে তদন্তের বিষয়ে ঘটনাস্থলের দায়িত্বপ্রাপ্ত চকবাজার থানার এএসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, ওই নারীর মোবাইলটি প্যাটার্ন লক করা। কয়েকটি কমন প্যাটার্ন চেষ্টা করেও সেটি খোলা যায়নি। সেটি এক্সেস করতে পারলে প্রাথমিকভাবে কিছু বলা যেত। এ ছাড়া রাতে মোবাইলে কোনো কলও আসেনি, কেউ ওই নারীর ওয়ারিশ হিসেবেও দাবি করেনি। তাই তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত কোনো ক্লুও পাওয়া যায়নি।

এটি হত্যা না আত্মহত্যা জানতে চাইলে এএসআই জাহিদুল বলেন, ‘বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করছে। ময়নাতদন্তের পর আসল রহস্য জানা যাবে।’

প্রিয় সংবাদ/রুহুল