কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সেন্ট্রাল মালির ‘ডোগন’ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর গ্রামটিতে এ গণহত্যার ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

মালিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ১০০

মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ জুন ২০১৯, ১১:২০
আপডেট: ১১ জুন ২০১৯, ১১:২০

(প্রিয়.কম) সেন্ট্রাল মালির একটি গ্রামে যেখানে ডোগন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে সেখানে এক হামলায় একশ জনের মতো নিহত হয়েছে। হামলার পর ওই গ্রামে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫০ জন মানুষ রক্ষা পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া ১৯ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তবে আরও সহিংসতা ঠেকাতে ওই অঞ্চলে বিমান সহায়তা পাঠিয়েছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী।

স্থানীয় সময় রবিবার রাতে সেন্ট্রাল মালির ‘ডোগন’ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর গ্রামটিতে এ গণহত্যার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর আরেক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ‌ ‘ফুলানি’ সম্প্রদায়ের মানুষ বলে ধারণা করা হচ্ছে। ‘ডোগন’ এবং ‘ফুলানি’ সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। বন্দুকধারীদের গুলিতে গত মার্চে ফুলানি সম্প্রদায়ের প্রায় ১৫০ জন মানুষ মারা যায়। যা মালির ইতিহাসে জঘন্যতম গণহত্যার একটি।

এদিকে দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে মোবতি এলাকায় সানগা শহরের কাছে সোবামে দা গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই গ্রামটিতে মাত্র ৩০০ জনের মতো বাসিন্দা ছিল। তাদের ভাষ্য ৯৫ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। যাদের অনেক শরীর পোড়া ছিল। এখনো মৃতদের খোঁজে কাজ চলছে।

আমাদো টোগো নামের এক ব্যক্তি যিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন ‘৫০ জনের মতো ভারী অস্ত্রে সজ্জিত বন্দুকধারীরা মোটরবাইক এবং পিকআপে করে আসে। তারা প্রথমে পুরো গ্রামটি ঘিরে ফেলে পরে হামলা করে। এবং যে পালানোর চেষ্টা করে তাকেই তারা হত্যা করে।’

এই ব্যক্তি আরও জানান, কেউ রক্ষা পায়নি। নারী, শিশু, বৃদ্ধ-কেউ না। এদিকে কোনো গ্রুপ এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ