লাকী আখন্দকে নিয়ে গুগলের ডুডল
লাকী আখন্দকে নিয়ে গুগলের ডুডল
আপডেট: ০৭ জুন ২০১৯, ১২:০২
(প্রিয়.কম) মাথায় টুপি, হাতে গিটার, বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীর চিরচেনা ভঙ্গি। চেনা যাচ্ছে না? তাহলে বলি, তিনি বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লাকী আখন্দ। ৭ জুন, শুক্রবার এই শিল্পীর ৬৩ তম জন্মদিন। আর এই দিনটি উপলক্ষে তার চিরচেনা ভঙ্গি দিয়েই ডুডল করেছে গুগল। আজ গুগল তাদের হোমপেজে নতুন এ ডুডল দিয়েই শিল্পীর জন্মদিন উদযাপন করছে।
একাধারে গায়ক, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দ ১৯৫৬ সালের ৭ জুন জন্ম নেন। আজ গুগলের হোমপেজে এ ডুডল দেখতে পাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। গুগল তাদের ডুডল পাতায় লাকী আখন্দের জীবন-সম্পর্কিত কিছু তথ্যও তুলে ধরেছে। আর ডুডলের ওপর ক্লিক করলে লাকী আখন্দ-সংক্রান্ত তথ্য পাতায় নিয়ে যাচ্ছে।
৫ বছর বয়সেই তিনি তার বাবার কাছ থেকে সংগীত বিষয়ে হাতেখড়ি নেন। তিনি ১৯৬৩-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশুশিল্পী হিসেবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেন। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে লাকি আখন্দের প্রথম একক অ্যালবাম ‘লাকি আখন্দ’ প্রকাশ পায়।
লাকী আখন্দের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে, ‘এই নীল মনিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘মামনিয়া, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার’, ‘কি করে বললে তুমি’ ‘লিখতে পারি না কোনোও গান, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’ প্রভৃতি।
গুণী এই সংগীতজ্ঞ ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হলে ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসা নিতে যান। ব্যাংককে ছয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার একটু উন্নতি হলে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে এনে তাকে ভর্তি করানো হয় বিএসএমএমইউতে। পরে একটু সুস্থ হলে বাসায় চলে যান। ওই বছরের ২১ এপ্রিল শিল্পীর শারীরিক অবস্থা আরও গুরুতর হলে আরমানিটোলার বাসা থেকে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রিয় বিনোদন/রুহুল