কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জলবায়ু তহবিলে কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ছবি: সংগৃহীত

জলবায়ু তহবিলে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি টিআইবির

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০১ জুন ২০১৯, ২১:০৪
আপডেট: ০১ জুন ২০১৯, ২১:০৪

(প্রিয়.কম) জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি মোকাবেলায় আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) জাতীয় বাজেটে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে (বিসিসিটিএফ) কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। 

১ মে, শনিবার টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা ও অর্থায়নে সরকারের বহুমুখী এবং যুগোপযোগী উদ্যোগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ) গঠন এবং ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে জাতীয় বাজেট থেকে সরকার এ তহবিলে অর্থ বরাদ্দ করে আসছে, যা প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরকারী উন্নত দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের তহবিল প্রাপ্তির যৌক্তিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিসিসিটিএফ গঠনের পর এ তহবিলে প্রথম তিন বছরে প্রতি বছর ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষয়-ক্ষতির ঝুঁকির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজেট বরাদ্দ বাড়েনি, বরং ক্রমান্বয়ে কমেছে। অন্যদিকে সবুজ জলবায়ু তহবিলসহ উন্নত দেশগুলোর মাধ্যমে গঠিত অন্যান্য আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের অভিগম্যতাও এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক নয়। ঝুঁকি বৃদ্ধির পরও অর্থের যোগান কমে যাওয়ার এই চিত্র উদ্বেগজনক। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের (বিসিসিটিএফ) ঘাটতি পূরণে আসন্ন ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে কমপক্ষে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের জোর দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।’

ড. জামান আরও বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বরাদ্দ করা অর্থের ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি যেমন বাড়বে, তেমনি সবুজ জলবায়ু তহবিলসহ আন্তর্জাতিক তহবিলে বাংলাদেশের অভিগম্যতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে কমপক্ষে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের পাশাপাশি জনগণের পক্ষে বরাদ্দকৃত অর্থ স্বচ্ছ ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় ব্যবহার নিশ্চিতে জাতীয় বাজেটে কৌশলগত দিকনির্দেশনা থাকবে বলে প্রত্যাশা করছে টিআইবি।’

প্রিয় সংবাদ/কামরুল/আজাদ চৌধুরী