ওমরাহ হজ পালনে শহীদ আফ্রিদি ও তার কন্যারা। ছবি: টুইটার
কন্যাদের নিয়ে ওমরাহ হজে আফ্রিদি, দেখুন ছবি ও ভিডিওতে
আপডেট: ৩১ মে ২০১৯, ১১:৪২
(প্রিয়.কম) মাহে রমজানের পবিত্র মাসে নিজের কন্যাদের নিয়ে ওমরাহ হজ পালন করতে মক্কা শরিফে অবস্থান করছেন শহীদ আফ্রিদি।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা চারটি ছবিতে দেখা যায়, কন্যাদের সঙ্গে পবিত্র নগরীতে অবস্থান করছেন আফ্রিদি।
ছবিগুলোর ক্যাপশনে আফ্রিদি লিখেছেন, ‘এই পবিত্র রমজান মাসে, মক্কা শরিফে উপস্থিত হয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা সত্যিই দারুণ ব্যাপার। যদি কেউ রমজান মাসে ওমরাহ পালনের সুযোগ পায় তাহেল সে যেন ওই সুযোগ কোনোভাবেই না হারায়।’
This sound of Allah o Akbar, this moment, this blessed night, I feel so blessed to be here & ask #Allah for forgiveness & bless my countrymen & all humanity & shower countless blessings on #Pakistan.
— Shahid Afridi (@SAfridiOfficial) May 30, 2019
Whosoever gets a chance, must visit Medina & Makkah & perform Umrah in Ramadan. pic.twitter.com/jQzjBYqA2I
পাকিস্তানের হয়ে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে ৫২৪ ম্যাচ খেলে ৫৪১ উইকেট শিকার করেন আফ্রিদি। এ ছাড়া ব্যাট হাতে ১১ হাজার ১৯৬ রান সংগ্রহ করেন এই অলরাউন্ডার।
বাবার ইচ্ছায় ২০০০ সালের ২১ অক্টোবর মামাতো বোন নাদিয়াকে বিয়ে করেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। একে একে তাদের কোল আলো করে পৃথিবীর মুখ দেখে চার কন্যা সন্তান- আকসা, আসমারা, আনশা ও আজওয়া।
আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’-এ আফ্রিদি জানিয়েছিলেন, প্রত্যেকটা কন্যা জন্মের পর তার ভাগ্যের চাকা দুর্দান্তভাবে ঘুরেছে। শুধু তাই নয়, কন্যাদের নিজের জীবনের আশীর্বাদ বলে ব্যক্ত করেছেন তিনি। তবে পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক এও জানিয়েছেন যে, তিনি চাননা তার কন্যারা ঘরের বাইরে গিয়ে কোনো খেলা খেলুক।
এ নিয়ে আফ্রিদি লিখেছিলেন, ‘আমি চাইব না তারা আমার মতো ক্রিকেট খেলাকে পেশা হিসেবে নিক। শুধু ক্রিকেট নয়, যেসব খেলা ঘরের বাইরে গিয়ে খেলতে হয়, আমি চাই না আমার মেয়েরা সেসব খেলা খেলুক। হ্যাঁ, ঘরের ভেতরে যেকোনো খেলায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে তারা গড়তে পারে। কিন্তু ঘরের বাইরের কোনো খেলায় আমার মত নেই। ওদের মায়ের সঙ্গেও আমি এ নিয়ে কথা বলেছি। সেও আমার সঙ্গে একমত। সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসনের কথা বিবেচনায় রেখেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নারীবাদীরা আমাকে যা খুশি বলতে পারেন, আমার তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি।’
এই লেখা প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। এমন মন্তব্যের কারণে আফ্রিদিকে নারীবিদ্বেষী বলছেন অনেকে। সামজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ককে নিয়ে চলে সমালোচনাও।
প্রিয় খেলা/রুহুল