কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

অভিষেকেই রাজনীতির মঞ্চে ছক্কা হাঁকিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। ছবি: সংগৃহীত

মুসলিম যুবককে মারধরের প্রতিবাদ করে বিপাকে সংসদ সদস্য গম্ভীর!

সৌরভ মাহমুদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০১৯, ১৪:১৩
আপডেট: ২৯ মে ২০১৯, ১৪:১৩

(প্রিয়.কম) ভারতের গুরুগ্রামে নামাজ থেকে ফেরার পথে মুসলিম যুবককে মারধরের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বিজেপির নব-নির্বাচিত লোকসভা সদস্য গৌতম গম্ভীর। তবে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিপাকেই পড়েছেন তিনি।

গত ২৫ মের ঘটনা। নামাজ থেকে ফেরার পথে এক মুসলিম ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করা হয় গুরুগ্রামে। মারধরের শিকার মোহাম্মদ বরকত নামের ওই ব্যক্তি জানান, নামাজ শেষে মাথায় টুপি পড়ে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে একদল অজ্ঞাত ব্যক্তি তার পথরোধ করে। এরমধ্যে একজন অকথ্য ভাষায় ডাক দিয়ে বলে এই এলাকায় টুপি পড়া নিষেধ।

এসময় নামাজ থেকে ফেরার কথা বললে বরকতকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মারধর করে এবং ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে জোর করে। তাতে রাজি না হলে তাকে শূকরের মাংস খাওয়ানোর হুমকি দেয় ওই ব্যক্তিরা। পরবর্তী সময়ে বরকত পালাতে চেষ্টা করলে জামা-কাপড় ছিড়ে নেয়। একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়লে ওই ব্যক্তিরা চলে যায়।

এই ঘটনা জানাজানি হতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে শোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে টুইটারে পোস্ট করেন দিল্লির নব নির্বাচিত সাংসদ গৌতম গম্ভীর।

টুইটে গম্ভীর লিখেছেন, ‘গুরুগ্রামের ওই মুসলিম যুবকের টুপি অপসারণ, জয় শ্রী রাম স্লোগান বিরক্তিকর। গুরুগ্রাম কর্তৃপক্ষের উচিত দৃষ্টান্ত মূলক ব্যবস্থা নেওয়া। আমরা একটি ধর্মনিরপেক্ষ জাতি। আমি শুধু গুরুগ্রামের ঘটনার কথাই বলছি না। ধর্ম এবং জাতপাতের নামে এরকম ন্যক্কারজনক কাজ করলেই উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।’

নবনির্বাচিত সাংসদের এমন প্রতিবাদকে ভালোভাবে নেয়নি হিন্দুত্ববাদী গেরুয়া শিবির। টুইটারে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন গম্ভীর। অনেকেই তাকে চুপ থাকার পরামর্শ দেন। এই যেমন এক বিজেপি নেতা লিখেছিলেন, ‘হয় হিন্দু মুসলমান সকলের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানান, নয় চুপ থাকুন।’

এমন অবস্থায় মুখ খুলতে বাধ্য হন দিল্লির বিজেপির প্রধান মনোজ তিওয়ারিও। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। গৌতম গম্ভীরের সরল মন্তব্যকে বিজেপির বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা হতে পারে। তবে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।’

প্রিয় খেলা/আশরাফ