কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি

তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক!

মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০১৯, ১২:২৫
আপডেট: ২৯ মে ২০১৯, ১২:২৫

(প্রিয়.কম) সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ভারতের লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক আসনে বিজয়ী হয়ে এককভাবেই ফের রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতায় এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। এরই মধ্যে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল।

২৮ মে, মঙ্গলবার তৃণমূলের দুই জন বিধায়কসহ প্রায় চার পৌরসভার ৭০ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যোগ দিয়েছেন এক জন বামফ্রন্টের বিধায়কসহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও। ফের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদি শপথ নেওয়ার পূর্বে তৃণমূল থেকে বিজেপির রাজনীতিতে যোগদানকে ঘিরে যেন রাজনীতির আলোচনায় নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে বলে আলোচনা শুরু হয়েছে।

যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি এই ধরনের ঘটনা সাময়িক বিপর্যয়। দলটির একজন শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেছেন,  আদর্শহীনরাই এখন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। কারণ ঝড়ের সময় জাহাজ দোল খেলে প্রাণে বাঁচতে ইঁদুররাই জলে ঝাপ দেয়। এখানেও তাই হয়েছে। 

আগামী ৩০ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোটের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। 

এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা রাজ্যটির খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, ‘বিজেপি বন্দুকের নল ঠেকিয়ে তৃণমূল থেকে নেতা-কর্মীদের ভাগিয়ে নিচ্ছে।’ অন্যদিকে তাপস রায় নামের আরেক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।’

জানা যায়, ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল থেকে ৩৪ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। পাঁচ বছর পর ২০১৯ সালে ১২ জন সাংসদ কমে গিয়ে ২২ জন জনপ্রিতিনিধিকে রাজ্যবাসী নির্বাচিত করেছেন। পক্ষান্তরে এখন বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ১৮, পূর্বে ছিল দুই জন।

নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পূর্বেই বিজেপি নেতা ও  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল যদি তার দল দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে তাহলে তৃণমূলের রাজ্যে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে মোদি জানিয়েছিলেন, তৃণমূল থেকে অন্তত ৪০ জন নেতা বিজেপির সঙ্গে নিয়মিত যোগযোগ রেখে চলেছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা যেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিফলন চিত্র বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য দলের এই বিপর্যয় ঠেকাতে একের পর এক বৈঠক করে যাচ্ছেন তৃণমূল সভানেত্রী তথা রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুধু তাই নয়, বিজেপি শীর্ষ নেতা মুকুল রায়ের ছেলে তৃণমূলের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় সম্প্রতি বহিষ্কৃত হয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপিতে যোগ দিলেন। তৃণমূলে ভাঙনের শুরু উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকেই। ফলে এই জেলার তৃণমূল নেতাদের ঘুম কার্যত উড়ে গিয়েছে।

মুকুল রায় বলেন, ‘তৃণমূলে গণতন্ত্র নেই। তাই তো তৃণমূল করলেও বহু নেতা তলেতলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছিলেন। এমন কি তৃণমূল বিধায়ক, কাউন্সিলার থেকে নেতা পর্যন্ত এবার ভোট দিয়েছেন বিজেপিতে।’

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ