কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আঁখি আলমগীর। ছবি: শামছুল হক রিপন

‘নিজের টাকায় লুকিয়ে কাপড় কিনি, চোরের মতো’

মিঠু হালদার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ মে ২০১৯, ২১:০৩
আপডেট: ২৭ মে ২০১৯, ২১:০৩

(প্রিয়.কম) গানের দুনিয়ায় অবাধ বিচরণ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীরের। দীর্ঘদিনের পথচলায় দর্শকের ভালোলাগা ও ভালোবাসা পেয়েছেন। নিজস্ব স্বকীয়তার কারণে নিজেকে অনেকের ভিড়ে ভিন্ন সুরে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছেন।

ক্যারিয়ার, জীবন ও এর বাইরে গিয়ে কিছু বিষয় নিয়ে প্রিয়.কমের সঙ্গে একান্ত আলাপ করেছেন এই শিল্পী।

প্রিয়.কম: দেখতে দেখতে তো এই জীবনের অনেকটা সময় গড়িয়েছে, কিন্তু তারপরও আপনার সৌন্দর্যের প্রশংসা এখনো অনেকেই করে থাকেন। ঠিক কীভাবে নিজের ফিটনেস ধরে রেখেছেন?

আঁখি আলমগীর: ৬০-৭০ বছর বয়স তো এখনো আমার হয়নি (হাসি)। কাজেই অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমি অনেক আগে থেকেই গান করি। একদম স্কুল শেষ হওয়ার পর থেকেই প্রফেশনালি কাজ শুরু করেছি। তখনই শাড়ি পড়তাম একটু বড় সাজার জন্য। এ কারণেই অনেকের মনে হয়, আঁখি তখনো বড় ছিল, এখনো বড়। কিন্তু তখন তো আমি ছোট ছিলাম। জোর করে নিজেকে বড় দেখানোর চেষ্টা করতাম।

এর কারণও আছে। ছোট বলে কেউ পাত্তা দিত না। সালোয়ার-কামিজ পরলে আমাকে বেবি বেবি মনে হতো। শাড়ি পড়তাম মানুষ যাতে আমাকে একটু আলাদাভাবে রেসপেক্ট করে। দেখতাম শাড়ি পড়লেই মানুষ আলাদাভাবে দেখে। তখন বড় বড় ভাব নিয়েই চলতাম বলে এখন হয়তো অনেকেরই মনে হয় আমার বয়স ৭০-৭৫ হয়ে গেছে (হা হা হা)। আসলেই কিন্তু সেটা হয়নি। তাই এখনো ফিটনেস মেনটেইন করা শুরু হয়নি। মেনটেইন শুরু করতে হবে মনে হয় আরও আট-দশ বছর পরে গিয়ে। মনে হয় একটা যুদ্ধে নামতে হবে।

প্রিয়.কম: আপনি কি এখনো পুরুষ ভক্তদের কাছ থেকে রোমান্টিক মেসেজ পান? তাদের আগ্রহের বলয়ে কিন্তু আপনি আছেন। একটা ফেসিনেশন কাজ করে আপনার প্রতি। বিষয়টা বুঝতে পারেন?

আঁখি আলমগীর: এটা আমি বলে না, যেকোনো মেয়েই কিন্তু তার প্রতি কারো আকাঙ্খা থাকলে কিংবা তার প্রতি কারও ভালোলাগা থাকলে সেটা খুব সহজেই টের পেয়ে যায়। আর যতক্ষণ লিমিট ক্রস না হয়, ভালোলাগাটা কিংবা ভালোবাসার জায়গাটাতে অতটুক পর্যন্ত অবশ্যই ভালোই লাগে। এটা তো একটা বড় পাওয়া, কারো ড্রিমের মানুষ হওয়া। ওটা তো সবাই চায়। অনেকেই অনেক ধরনের মেসেজ পাঠায়। আমার ভালো লাগে, আমি তাদের অ্যাপ্রিসিয়েটও করি।

প্রিয়.কম: নব্বইয়ের পরবর্তী সময়ে আধুনিক বাংলা গানে পাশ্চাত্য একটা ঢং নিয়ে এসেছেন আপনি। মানে গ্ল্যামারাসলি উপস্থাপন বলতে যা বোঝায়। তবে সেটা শুধু গায়কিতেই নয়, পোশাকের দিক থেকেও। এটা কী আপনি সচেতনভাবে আয়ত্ব করেছেন?

আঁখি আলমগীর: ওটাই আমি। আমার মনে হয় আমার এত দিনের পথচলায় দর্শকের ভালোলাগা ও ভালোবাসা আছে বলেই আজ এখানে দাঁড়িয়েছি আমি। একটা মানুষকে সফল হওয়ার পেছনে সৃষ্টিকর্তার ব্লেসিংও (আশির্বাদ) থাকে। জনপ্রিয় হওয়া একটা জিনিস, আর তা ধরে রাখা আরেক জিনিস। অনেকেই মনে করে, আমি মনে হয় ইচ্ছে করেই ফ্যাশেনেবল হয়ে দর্শক-শ্রোতাদের সামনে আসি। কিন্তু তা না, আমি এ রকমই।

আমার ফেসবুকে যারা আমার সঙ্গে আছে, তারা জানে। আমি যখন ক্লাস ফাইভ, সিক্স কিংবা সেভেনে পড়তাম, তখন তো কিছু করতাম না। তখনকার ছবিগুলো অনেকেই দেখে বলে, তুমি তখনই এত ফ্যাশেনেবল ছিলে! তখন তুমি চোখে ওপর গ্লিটার দিতা! তখন লিবলস দিতা! বাংলাদেশে তখন তো এগুলো পাওয়াই যেত না। যখন আমরা বাইরে যেতাম তখন এগুলা আনতাম। তখন তো ফেসবুক ছিল না, কেউ জানতও না। যারা আমাকে চেনে তারা জানে আমি তখন থেকেই ফ্যাশন সচেতন ছিলাম।

আমার মনে আছে যে, হঠাৎ করেই বাংলাদেশে আসলো রঙিন হিল জুতো। আগে শুধু সাদা-কালো-ব্রাউন এগুলোর মধ্যে ছিল। এরপর হঠাৎ করে শুরু হলো হলুদ-সবুজ-লাল-নীল। আমার প্রত্যেকটা রংয়ের জুতো ছিল। কারণ আমি ম্যাচিং করে পরতাম। এখন তো কনট্রাস্ট ফ্যাশন চলে। তখন তো ম্যাচিং ফ্যাশন ছিল। আমি নিজে থেকেই ফ্যাশেনেবল। আমি ব্যক্তিটাই ফ্যাশন সচেতন। আমি এনজয় করি।

পোশাকের প্রতি আমি অনেকটাই অ্যাডিকটেড। আমার মনে হয়, আমার বাসায় একটা সময় আর কিছুই থাকবে না, কাপড়ের ওপর আমাকে ঘুমাতে হবে, এমন অবস্থা হবে। আমি কাপড় কেনার জন্য বকা খাই সবার কাছ থেকে। আমি নিজের টাকায় কাপড় কিনি কিন্তু লুকিয়ে কাপড় কিনি, চোরের মতো কাপড় কিনি। বিষয়টা যদিও ফানি (মজার)। সবাই এত বকা দেয় আমাকে! শপিং করছি নিজের টাকায় কিন্তু চোরের মতো (হা হা হা)।

প্রিয়.কম: আপনি যে ধরনের গান করেন, ওই সময়কার সিনিয়র কিংবা জুনিয়রদের কেউ কেউ একই ধারার গান করেছেন। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে আলাদা একটা বিষয় ছিল, শুধু শহর নয়, গ্রামাঞ্চলেও আপনি জনপ্রিয়। এটা কী আপনার শুধু গানের জন্য, নাকি আপনার উপস্থাপন ভঙ্গি, সাজগোজ সবকিছু মিলিয়েও একটা অবদান আছে?

আঁখি আলমগীর: দুই দিক থেকে যদি পছন্দ না হয়, শুধু গানের শিল্পী নয়, একজন অভিনেতা-অভিনেত্রী ওভাবে জনপ্রিয় হতে পারে না। কারণ ঢাকা শহরটা অনেক বড় না। পুরো বাংলাদেশ হিসাব করতে হবে। সেই সঙ্গে দেশের বাইরের যে জায়গাগুলোতে বাংলা ভাষাভাষীরা থাকেন, সে দিকটাও হিসাব করতে হবে। আমি তো আমি সবরকম গান গেয়েছি।

একদিকে আমি যেমন মডার্নভাবে গান উপস্থাপন করেছি, আবার ফোকগানও অনেক করেছি। ফোক গানগুলো কিন্তু আমি ফোক ঘরানার পাশাপাশি মডার্ন স্টাইলে উপস্থাপন করেছি। আমার মনে হয় দর্শক নতুন কিছু খুঁজে পেয়েছিল। চোখে পড়েছিল। আর আমি স্বকীয়তাটা ধরে রেখেছি কাউকে ফলো না করে, সেটাও একটা ব্যাপার বলে আমার মনে হয়। নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে যখন মানুষ কাজ করবে, তাকে কিন্তু মানুষ নোটিস করবে। তো আমাকে মানুষ নোটিস করেছে, এরপর পছন্দ করেছে। পছন্দ না করলে হবে না। এরপর তারা আমাকে ভালোবেসেছে। আমি বলব, এটা আমার ভাগ্য। কারণ তারা পছন্দ না-ও করতে পারত।

প্রিয়.কম: আপনার পর আর কাউকে এমন পাওয়া যায়নি, গায়কির সৌন্দর্য ও শারীরিক সৌন্দর্যর একটা কম্বিনেশন আছে। আপনি কীভাবে ব্যালান্স করেন সবকিছু?

আঁখি আলমগীর: আমি কখনো কোনো শিল্পীর মতো হতে চাইনি। আমি আমিই হতে চেয়েছি। আমার মনে আছে আমি যখন পারফর্ম শুরু করি স্টেজে, তখন আমি পারফর্ম দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কি হয়, যখন আমরা সিনিয়র আর্টিস্টদের পারফর্ম দেখি, যারা অনেক সিনিয়র কিংবা স্টেজে ভালো পারফর্ম করে, তাদের দ্বারা আমরা কিন্তু প্রভাবিত হয়ে যাই, চাইতে কিংবা না চাইতে। এটা হয়ে যায়, তখন হাতের মুভমেন্ট, কোনো কিছু-না-কিছু, কিংবা চুলের কাট নাচের মুভমেন্ট; কিছু না কিছু একটা মিলে যায়।

আমার মনে আছে, আমি নাইনটিজে যখন পারফর্ম করা শুরু করলাম স্টেজে; এমনও হয়েছে অনেক সিনিয়র শিল্পী, সে স্টেজে ভালো পারফর্ম করে, আমি কিন্তু তা দেখিনি। আমি ব্যাক স্টেজে বসে ছিলাম। সবাই কিন্তু দাঁড়িয়ে দেখছে। আমি কখনো প্রভাবিত হতে চাইনি। এটা অহংকারের কোনো কিছু না। মনে হয়েছে, যদি কাজটা করি, তাহলে আমার মতো করে করব।

আমাকে মানুষ ফলো করবে। আমার পারফমেন্স যখন হবে, তখন ব্যাক স্টেজ থেকে সবাই উঠে এসে দেখে। সেটা কিন্তু শিল্পীদের কথা বলছি। আমি নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের ভালোবাসি। কারণ ওরা ওদের ভালোবাসা আমাকে ওপেনলি দেখায়। ওরা কোনো কার্পণ্য করে না। আমিও তাদের স্নেহ করি, ভালোবাসি। মূল কথা হলো স্বকীয়তা থাকতে হবে। তখনই সবাই অ্যাপ্রিসিয়েট করে।

প্রিয়.কম: ক্যারিয়ারের আজকের এ অবস্থানে আসার জন্য কোন বিষয়গুলো সবচেয়ে ভূমিকা রেখেছে?

আঁখি আলমগীর: এটা আসলে একটা প্যাকেজ। একটা জিনিস দিয়ে কেউ কিছু হতে পারে না। প্রথম কথা হচ্ছে যে, আমি বারবারই একটা কথা বলি সেটা হচ্ছে, দর্শকদের ভালোবাসা। এটা কেউ জোর করে নিতে পারে না। এটা যে করতে পারে, সে এগিয়ে যায়। আরেকটা হচ্ছে, গুড লাক, ভাগ্যও থাকতে হয়। সৃষ্টিকর্তার একটা ব্লেসিং থাকতে হয়, বাবা-মার একটা দোয়া থাকতে হয়। আর নিজের তো গুণ একটু থাকতেই হবে। পরিশ্রম করত হবে। কাজের প্রতি সৎ থাকতে হবে।

আমার কাছে মনে হয়, এই বিষয়গুলো ভেতরে থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, একজন শিল্পীকে ভালো মানুষ হতে হয়। মাথা গরম করা মানুষ এমন অনেক বড় শিল্পীকে চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যেতে দেখেছি আমি। অহংকারের কারণে। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ শুরুতেই অহংকারী হয়ে যাই। অল্প প্রাপ্তিতে অহংকারী হয়ে যাই। সেখান থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে। নেগেটিভ ভাইভ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। হিংসা করা যাবে না।

হিংসা একজন শিল্পীকে মেরে ফেলে। সময়জ্ঞান, কোথাও কথা দিয়ে কথা রাখা, এ বিষয়গুলো আমি এত বছর ধরেও মেনটেইন করছি। জুনিয়র শিল্পীর জন্য দুই ঘণ্টা বসে থেকেছি, এটা আমার রেগুলার করতে হয়। কিন্তু এটা নিয়ে আমি কোথাও স্ট্যাটাসও দিইনি। আমি তখন বসে থাকি, আর মনে মনে ভাবি, ওর কিছু হবে না আসলে। কারণ ওদের আগে যারা যারা এমনটা করেছে, তাদের কিছুই আসলে হয়নি।

প্রিয়.কম: দীর্ঘ সময়ের ক্যারিয়ারে এখনো যে কাজগুলো করা হয়নি বলে মনে হয় এবং এ বছরই যেগুলো করতে চান?

আঁখি আলমগীর: অনেক কাজ করার প্ল্যান করি। আমি এত অলস যে কাজ করা হয় না। আমার মেয়ে কিন্তু ও লেভেল পরীক্ষা দিচ্ছে এবার। ৭ তারিখে শুরু হয়েছে। আমি এবার ঈদে লাইভে কোনো গান গাব না। একটা দুটো অনুষ্ঠান করা ছিল, ওগুলোই দেখা যাবে। কারণ আমি ওকে (মেয়ে) নামাই, ওঠাই এবং রাতে যখন পড়ে, আমি ওর পাশেই থাকি, গেম খেলি বা মুভি দেখি। আমি ওর সঙ্গে থাকি। আমি খুব এনজয় করি ওর সঙ্গে সময়টা।

অনেকেই জানে, কাজের চেয়েও বেশি প্রায়োরিটি আমার ফ্যামিলিকে দিই। এ কারণে অনেক প্ল্যান হয়; কিন্তু ওটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আর হয় না। হয়তো দেখা গেছে, আমি কোথাও ঘুরতে চলে যাই। আমি ছন্নছাড়া। কেউ জোর করে কাজ করিয়ে নিলে হয়, না-হয় আমি প্রচণ্ড ফাঁকিবাজ।

প্রিয়.কম: একজন শিল্পী চাইলেই এখন ইউটিউবে দেখে নিতে পারে তার গান কতজন দেখেছেন, লাইক, শেয়ার, মন্তব্য করেছেন। বিষয়টির প্রতি আপনি কতটা আস্থাশীল?

আঁখি আলমগীর: কিছুটা তো আস্থাশীলতার জায়গা আছেই। অনেকেই আছে যাকে আমি চিনি না কিন্তু তার ফলোয়ার অনেক বেশি। কারণ তার ওটাই দেখাতে হবে। আবার অনেকের আছে, সে ওটার খবরও নেয় না। কিন্তু তার সুন্দর একটা নম্বর আছে। আমাদের সময়ের অনেকেই ইউটিউব কিংবা ফেসবুকের ফলোয়ার নিয়ে খুব একটা মাথায় ঘামায় না। যেটা আছে সেটা প্লাস পয়েন্ট, সেটা নিয়ে মাথায় ঘামায় না।

তবে এর পরবর্তী প্রজন্ম অনেক সিরিয়াসলি নেয়। তারা বিষয়টার জন্য আলাদা করে প্রমোশনও করে। এটা এখনকার ট্রেন্ড। যেহেতু এখন অ্যালবাম বের হচ্ছে না, একজন শিল্পী কীভাবে কী করবে, যেহেতু এখন আর কোনো মাধ্যমও নেই। এটা তো সময়ের সঙ্গে চলারও একটা বিষয়। আমাদের জেনারেশনের সবাই, মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দুটোই দেখেছি, আনন্দও পেয়েছি। আমরা সেই সময়ের সফলতাটাও পেয়েছি, এখনো পাচ্ছি।

প্রিয়.কম: এখন আপনার ব্যস্ততা কী নিয়ে?

আঁখি আলমগীর: আমার কিছু গান রেডি আছে, শুধু ভয়েস দেওয়া বাকি। আগামী ১ তারিখে এক দিনের জন্য কলকাতা যাব। টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডের জন্য। বেস্ট সিঙ্গার অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছি। এ বছর অনেকগুলো অ্যাওয়ার্ড একসঙ্গে পেয়েছি। আমি একটু ফ্রি হয়ে কাজগুলো শেষ করে ফেলব।

এবার একটু বেশি গরম পড়েছে। যার কারণে আউটডোরে কাজ করা হয় না। এ কারণে মিউজিক ভিডিও করা হচ্ছে না। রোদ আমার একদম ভালো লাগে না। গরমটা কমলেই মিউজিক ভিডিওর কাজ শুরু করব। তবে একটা কাজ আমাকে করে দিতেই হবে, যেটা ঈদের আগে রিলিজ হবে। সফট মেলোডি গানটা লিখেছেন অনুরূপ আইচ।

প্রিয় বিনোদন/রিমন