কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

২০ ইয়ং গ্লোবাল লিডারের একজন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

৩০ মিনিটের বিরতিতে বিরল অভিজ্ঞতা পলকের (ভিডিও)

রাকিবুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০১৯, ১৭:১৩
আপডেট: ২৬ মে ২০১৯, ১৭:১৩

(প্রিয়.কম) জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করতে হেলিকপ্টারে করে পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ গ্রীনল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

গ্রীনল্যান্ডের ইলুলিসাত শহরে অনুষ্ঠিত ওয়াই জি এল ইম্প্যাক্ট এক্সপিডেশন কর্মসূচির অংশ হিসেবে এসব স্থান পরিদর্শন করেন তিনিসহ ২০ জন ইয়ং গ্লোবাল লিডার। মাঝপথে প্রায় ৩০ মিনিট বিরতি নেন তারা।

এ সময় পলক এক বিরল অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন এবং বিষয়টি তার ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেন তিনি।

ভিডিওসহ একটি পোস্টে পলক লিখেছেন, ‘ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের’ আমন্ত্রণে গ্রিনল্যান্ড এক্সপেডিশনে অংশ নিয়ে এক বিরল অভিজ্ঞতা হলো। আমিসহ বিশ্বের আরও ২০জন Young Global Leader দের এক অভিযানে আমরা হেলিকপ্টারে করে যাচ্ছিলাম। মাঝপথে আমরা ৩০ মিনিটের মতো বিরতি দিয়ে একটা জায়গায় নামলাম। হঠাৎ করে এক বিকট আওয়াজ শুনতে পেলাম। প্রথমে মনে করলাম তীব্র বাতাসের শব্দ বা অন্য হেলিকপ্টারের আওয়াজ হবে। কিন্তু তাকিয়ে দেখি চোখের সামনে গলতে শুরু করেছে এক বিশাল আকৃতির বরফ যা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো।’

এমন অভিজ্ঞতা অর্জনের পর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোর প্রতি চাপ প্রয়োগ করতে অন্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডে ধারণার চেয়ে দ্রুত গতিতে বরফ গলছে। এভাবে বরফ গলা অব্যাহত থাকলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর পড়বে।’

মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন , ‘মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক মার্কিন সংস্থা নাসার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেখানে ২০০৩ সালের পর বরফ গলার হার চার গুণ বেড়ে গেছে, যা অতীতে কখনোই ঘটেনি। এক গবেষণায় দেখা গেছে ২০১২ সালে গ্রিনল্যান্ডে ৪০ হাজার কোটি টনের বেশি বরফ গলেছে, যা ২০০৩ সালের চেয়ে চার গুণ বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরফ গলেছে দক্ষিণ গ্রিনল্যান্ডে। এভাবে গ্রিনল্যান্ডের সব বরফ গললে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২৩ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যাবে যার ফলে বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর অনেক অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাবে এবং প্রায় ২ কোটি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর ফলাফলগুলোর কারণে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর গভীর প্রভাব পড়ে। দরিদ্র দেশগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশ তার ভৌগলিক অবস্থার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদিও এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয় কিন্তু ভুক্তভুগী হবে। তাই আমাদের এখনি উন্নত দেশগুলোকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে যেন তারা বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমানোর ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ নেয়। এই জন্য যারা দায়ী সেই সকল দেশের দায়িত্ব নিতে হবে।’

প্রিয় সংবাদ/কামরুল