কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বনানীতে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্ধার তৎপড়তা চলছে। ফাইল ছবি

এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা

আমিনুল ইসলাম মল্লিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ মে ২০১৯, ১৯:২৫
আপডেট: ২২ মে ২০১৯, ১৯:২৫

(প্রিয়.কম) বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে টাওয়ারটির অবৈধ অনুমোদনের সঙ্গে রাজউকের ১৩ কর্মকর্তাসহ অগ্নিকাণ্ড, জানমালের ক্ষতির জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তত ৬৭ জনকে দায়ী বলে শনাক্ত করা হয়েছে।

২২ মে, বুধবার গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সচিবালয়ে তদন্ত প্রতিবেদনটি তুলে ধরে এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‌‘রিপো‌র্টে যাদের দায়ী করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। দায়ী ব্যক্তিদের তালিকায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন খাদেম, অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহম্মেদ, অথরাইজড অফিসার নাজমুল হুদা, সহকারী অথরাইজড অফিসার বশির উদ্দিন খানের নাম রয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইয়াকুব আলী পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রাজউকও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে। আমাদের রেওয়াজ আছে, তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে না। আমি অঙ্গীকার করেছিলাম, সেই সনাতনী ধারণার বাইরে বেরিয়ে আসব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের টার্গেট ছিল- এই ভবনটি নির্মাণ পদ্ধতির মধ্যে কোনো অনিয়ম বা ব্যত্যয় ছিল কি না, হয়ে থাকলে তা কোন ধরনের তা নির্ণয় করা। এফআর টাওয়ারের ১৫ তলা পর্যন্ত অনুমোদন নেওয়া হয়। এই অনুমোদন যথাযথ ছিল। এরপর ১৮ তলা পর্যন্ত নির্মাণ প্রক্রিয়া যথাযথ ছিল। কিন্তু যে উপায়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেটা সঙ্গত ছিল না। অনুমোদন দেওয়ার সময় যে আইন ছিল সেই আইনের আওতায় অনুমোদন দেওয়া হয়নি, অনুমোদন দেওয়া হয় আগের আইনে। এফআর টাওয়ারের ১৮ তলা থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত সম্পূর্ণ অবৈধ বলেও উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি।

তদন্ত প্রতিবেদনে পর্যালোচনা ও সুপারিশ:

তদন্ত প্রতিবেদনে ৭ দফা পর্যালোচনা ও ১৫ দফা সুপারিশ দিয়েছে কমিটি। এতে ভবনের অতিরিক্ত অংশ ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছে। আর সেটা সম্ভব না হলে সিলগালা করে দেওযার সুপারিশ করা হয়েছে। ভবন নির্মাণকালে রাজউক চেয়ারম্যান, অথরাইজড অফিসার ও সহকারী অথরাইজড অফিসারের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করার নির্দেশনা রয়েছে।

তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৩ তলা বিশিষ্ট এফআর টাওয়ারের নকশাটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে বানিয়েছে। এর দায় তৎকালীন রাজউক চেয়ারম্যান কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। সে সময়ের রাজউক চেয়ারম্যান হুমায়ূন খাদেম, অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহম্মেদ, অথরাইজড অফিসার নাজমুল হুদা, সহকারী অথরাইজড অফিসার বশির উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করার সুপারিশ রয়েছে এই প্রতিবেদনে।

গত ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ভবনটির কয়েকটি ফ্লোর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে এবং আগুনে পুড়ে নিহত হন অন্তত ২৬ জন। এ ছাড়া শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল