কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এ বছরও রাজশাহীতে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন হবে প্রায় ১০০ টন। ছবি: সংগৃহীত

বিদেশে যাবে রাজশাহীর যেসব আম

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২০ মে ২০১৯, ১৯:৫৪
আপডেট: ২০ মে ২০১৯, ১৯:৫৪

(প্রিয়.কম) রাজশাহীর আমের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে কয়েক বছর ধরেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও হচ্ছে রাজশাহীর আম। এ বছরও রাজশাহী থেকে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন হবে প্রায় ১০০ টন। এ জন্য উন্নত প্রযুক্তিতে ‘ফ্রুট ব্যাগিং’ করা হচ্ছে গোপালভোগ, হিমসাগর, লক্ষণভোগ, ল্যাংড়া, আমরুপালি, ফজলি ইত্যাদি জাতের আম।

এর মধ্যে অন্তত ৫০ টন আম রপ্তানি করতে চায় কৃষি বিভাগ। রপ্তানি করতে এখন রাজশাহী মহানগরী ও বাঘা উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার আম উন্নত প্রযুক্তিতে ‘ফ্রুট ব্যাগিং’ করা হচ্ছে। এর বাইরেও ভালো জাতের কিছু আম বিদেশে রপ্তানি করা হবে। অপরদিকে আজ ২০ মে থেকে গোপালভোগ আম ভাঙা (গাছ থেকে আম পাড়া) শুরু হচ্ছে। 

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, বিদেশে আম রপ্তানি করতে হলে ২৬টি শর্ত মানতে হয়। ‘ব্যাগিং’ হচ্ছে শর্তগুলোর একটি। তবে ব্যাগিং করা না হলেও আমের মান ভালো হলে রপ্তানি করা যায়। তবে বিদেশ পাঠাতে হলে সব আম কোয়ারেন্টাইন পরীক্ষা করা হয়। এজন্য রপ্তানিকারকরা আম ঢাকার শ্যামপুর প্ল্যান কোয়ারেন্টাইন উইং সেন্ট্রাল প্যাকিং হাউসে নিয়ে যান। আমের মান ভালো হলে সেখানে ছাড়পত্র দেয় কর্তৃপক্ষ।

এরপরই জাহাজে করে আম বিদেশে যায়। গত বছর কোয়ারেন্টাইন পরীক্ষার কড়াকড়িতে আম রপ্তানি কম হয়েছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শামসুল হক জানান, চলতি মৌসুমে রাজশাহী অঞ্চলে প্রায় ২ লাখ ১৮ হাজার টন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর অন্তত ৫০ টন আম বাইরের দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

সব শর্ত মেনে গত বছর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ২৫ টন আম রপ্তানি করেছেন রাজশাহীর ১৪ জন ব্যবসায়ী। ২০১৭ সালে রপ্তানি হয়েছিল ৩০ টন। গত বছর রপ্তানিযোগ্য ১০০ টন থাকলেও সব রপ্তানি করা যায়নি। পরে তা কম দামে দেশের বাজারেই তা বিক্রি করতে হয়।

২০ মে থেকে সুস্বাদু গোপালভোগ জাতের আম পাড়া শুরু হচ্ছে। এ জাতের আম বাজারে এলে বেচাকেনা বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ১৫ মে থেকে গুটি জাতের আম ভাঙার মধ্য দিয়ে বাজারজাতকরণ শুরু হয়। এ ছাড়া রানীপছন্দ ২৫ মে, খিরসাপাতি বা হিমসাগর ২৮ মে এবং লক্ষণভোগ বা লখনা ২৬ মে, ল্যাংড়া আম ৬ জুন, আমরুপালি ও ফজলি ১৬ জুন এবং ১৭ জুলাই থেকে আশ্বিনা জাতের আম ভাঙা শুরু হবে।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল/রিমন