নূরজাহান জাতের আম। ছবি: সংগৃহীত
একটা আম একফুট!
আপডেট: ২০ মে ২০১৯, ১০:৩৩
(প্রিয়.কম) আমের মতো এতো সুস্বাদু ফল আর নেই। আমের যেমন ঘ্রাণ, তেমনি মজাদারও বটে। তাই তো বলা হয়, ফলের রাজা আম। কিন্তু আমের রানি কে? ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, হীমসাগর, আম্রপালি, মল্লিকা, আড়া জাম, কাচামিঠা, সুবর্নরেখা নয় ফলের রানি হিসেবে সম্মান দেওয়া হয় ‘নূরজাহান’ জাতের আমকে। আফগানিস্তানের এই আম গাছের প্রজাতি ভারতে কেবল একটি মাত্র স্থানেই পাওয়া যায়। তাও খুবই সামান্য পরিমাণে।
নূরজাহান জাতের একটি আমের দৈর্ঘ্য এক ফুট পর্যন্ত হতে পারে। আর এটির আঁটির ওজন ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম হয়ে থাকে। গত বছর ভারী বর্ষণে এই আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও এই বছরের আবহাওয়া এখনো এই আমের জন্য অনুকূল। কিন্তু কেন আমের রানি বলা হয় এই নূরজাহানকে?
মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলার কাত্থিওয়াড়া অঞ্চলেই একমাত্র দেখা মেলে নূরজাহান জাতের আমের। এই আমের সংখ্যা এতই সীমিত যে, গাছে থাকা অবস্থাতেই মানুষ এই আমের অগ্রিম বুকিং করে নেন। চাহিদা অনুযায়ী এক একটা আমের মূল্য ৫০০ রুপি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এই প্রজাতির আম চাষের বিশেষজ্ঞ ইশাক মশুরী বলেন, ‘এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নূরজাহানের বেশি ফলন আশা করা হচ্ছে। নূরজাহান গাছগুলিতে জানুয়ারি মাস থেকেই মুকুল ধরতে শুরু করে এবং ফল জুনের শেষদিকে সম্পূর্ণ পেকে যাবে। এবার এক একটা ফল গড়ে ২.৫ কিলোগ্রামের কাছাকাছি ওজনের হতে পারে। আগে নূরজাহান আমের গড় ওজন হতো ৩.৫ থেকে ৩.৭৫ কেজি।’
মশুরী আরও বলেন, ‘এর আগে অনেকবারই কাত্থিওয়াড়ার বাইরে অনেক লোক নূরজাহানের কলম রোপণ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু গাছ হয়নি। আমের এই বিশেষ প্রজাতি ঋতুর পরিবর্তনে অত্যধিক সংবেদনশীল। এর প্রচুর যত্ন প্রয়োজন।’
মশুরী জানান যে গত বছর শিলাবৃষ্টিতে নূরজাহানের মুকুল ঝরে যায়। এবার নূরজাহানের ভালো ফলন নিয়ে তারা আশাবাদী।
প্রিয় সংবাদ/আশরাফ/রুহুল