আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠদান। ছবি: সংগৃহীত
আশ্রয়কেন্দ্রেই চলছে পাঠদান
আপডেট: ১৮ মে ২০১৯, ১২:১০
(প্রিয়.কম) ভবন ঝুঁঁকিপূর্ণ ঘোষণার পর থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলছে কুমিল্লার দাউদকান্দির ৩৯ নম্বর দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান। গত দু’বছর ধরে বাধ্য হয়েই স্কুল কর্তৃপক্ষ বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ হওয়ায় ভবনটির বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পুনঃনির্মাণের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। ভবন নির্মাণের আগ পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা নিয়ে স্কুল পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের বারান্দায় পাখাবিহীন প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ক্লাসে খুবই কষ্ট হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য, স্কুলটিতে ১২৭ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত লেখাপড়া করে। ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় ২০১৭ সালে দাউদকান্দি উপজেলার প্রকৌশলী পরিদর্শনে এসে বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ঝুঁঁকিপূর্ণ স্কুল ভবনে পাঠদান না করাতে প্রধান শিক্ষককে মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে কোনোভাবে চলছে শিক্ষাদান। স্কুল ভবনটি মাত্র ২৩ বছরে পরিত্যক্ত হওয়ায় নির্মাণ কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষ ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রের নিচের অংশে চারদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিজস্ব অর্থায়নে বেড়া দেওয়ায় এখন ঝড় বৃষ্টিতেও কোনো সমস্যা হয় না। আশ্রয়কেন্দ্রের উপরের দুই রুমে একটিতে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস চলে। অপরটি স্কুলের অফিস রুম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নিচের অংশে বারান্দায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ফৌরদোসী আক্তার বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে নতুন ভবন না হওয়া পর্যন্ত স্কুলের পাশে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রেটিতে স্কুল পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর ২০১৭ সাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবনটি থেকে ক্লাস স্থানান্তর করে ম্যানেজিং কমিটির সহায়তায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রেটিতে সে অনুযায়ী পাঠদান চলছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সফিকুল ইসলাম জানান, এতো সীমাবদ্ধতা এবং সমস্যার মাঝেও বিদ্যালয়টির ফলাফল সবসময়ই ভালো।
একটি নতুন ভবন খুবই প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের আগের ভবনটি নির্মাণ হতে দেখেছি। তখন স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজের মান নিম্নমানের হওয়ায় মাত্র ২৩ বছরেই স্কুলটি পরিত্যক্ত হয়ে গেল।
প্রিয় সংবাদ/রুহুল