কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চার কন্যার সঙ্গে শহীদ আফ্রিদি। ছবি: সংগৃহীত

মেয়েদের ঘরের বাইরে খেলতে দিব না, বলে বিপাকে আফ্রিদি

সৌরভ মাহমুদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০১৯, ১৩:১৩
আপডেট: ১৫ মে ২০১৯, ১৩:১৩

(প্রিয়.কম) শহীদ আফ্রিদির আত্মজীবনীমূলক বই ‘গেম চেঞ্জার’ যেন বিতর্কের আখড়া। শুরুটা হয়েছিল বয়স দিয়ে। এরপর গৌতম গম্ভীর, জাভেদ মিয়াঁদাদ, ওয়াকার ইউনিসকে নিয়ে করা বিভিন্ন উদ্ধৃতি আলোচনার জন্ম দেয়। তবে সব ছাপিয়ে গেছে নিজের মেয়েদের নিয়ে আত্মজীবনীতে আফ্রিদির ভাষ্য।

আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’-এ আফ্রিদি জানিয়েছেন, প্রত্যেকটা কন্যা জন্মের পর তার ভাগ্যের চাকা দুর্দান্তভাবে ঘুরেছে। শুধু তাই নয়, কন্যাদের নিজের জীবনের আশীর্বাদ বলে ব্যক্ত করেছেন তিনি। তবে পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক এও জানিয়েছেন যে, তিনি চাননা তার কন্যারা ঘরের বাইরে গিয়ে কোনো খেলা খেলুক।

এ নিয়ে আফ্রিদি লিখেছিলেন, ‘আমি চাইব না তারা আমার মতো ক্রিকেট খেলাকে তারা পেশা হিসেবে নিক। শুধু ক্রিকেট নয়, যেসব খেলা ঘরের বাইরে গিয়ে খেলতে হয়, আমি চাই না আমার মেয়েরা সেসব খেলা খেলুক। হ্যাঁ, ঘরের ভেতরে যেকোনো খেলায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে তারা গড়তে পারে। কিন্তু ঘরের বাইরের কোনো খেলায় আমার মত নেই। ওদের মায়ের সঙ্গেও আমি এ নিয়ে কথা বলেছি। সেও আমার সঙ্গে একমত। সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসনের কথা বিবেচনায় রেখেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নারীবাদীরা আমাকে যা খুশি বলতে পারেন, আমার তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি।’

এই লেখা প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। এমন মন্তব্যের কারণে আফ্রিদিকে নারীবিদ্বেষী বলছেন সবাই। বিখ্যাত ক্রীড়া লেখক জ্যারড কিম্বার আফ্রিদিকে ব্যঙ্গ করেছিলেন গত সপ্তাহেই। এবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানি লেখিকা বিনা শাহও।

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন আফ্রিদির এমন সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের সমাজেরই উদাহরণ। তার ভাষ্য, ‘এ দিয়ে প্রমাণ হয়, পাকিস্তানের পুরুষালি সংস্কৃতির উদাহরণ যেখানে বলা হচ্ছে আমি বাবা, আমি যা বলব আমার মেয়েরা সেটাই করবে; যেটা মানা করব, করবে না। এবং তুমি কোনো কিছু করেই আমাকে আটকাতে পারবে না।’

এখানেই শেষ নয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আফ্রিদিকে রীতিমত ধুয়ে দিচ্ছেন সমালোচকরা। এই যেমন সালমান সিদ্দিক নামে একজন টুইটে লিখেছেন, ‘আফ্রিদি ও একজন মধ্যবয়স্ক পাকিস্তানি লোকের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। যারা অন্যের মেয়ের সঙ্গে আড্ডা দিতে আপত্তি করে না, কিন্তু নিজের মেয়ে অমন করলেই খেপে ওঠে।’

আবার আশা বেদার নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘তার মেয়ে, তার সিদ্ধান্ত? সত্যি? তার মানে নারীদের কণ্ঠ এবং সিদ্ধান্ত কোনো বিষয়ই না। এমনকি তারা প্রাপ্তবয়স্ক হলেও না! কারণ বাবা বলেছে!’

প্রিয় খেলা/রুহুল