কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি: সংগৃহীত

‘প্রেরণাদাতা ছিলেন ড. ওয়াজেদ মিয়া’

রাকিবুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০১৯, ২০:৫৬
আপডেট: ০৯ মে ২০১৯, ২০:৫৬

(প্রিয়.কম) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ড. ওয়াজেদ মিয়া শ্রেষ্ঠতম বিজ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন সত্তা এবং এ দেশটি অর্জনের ক্ষেত্রে তার অবদান ছিল অসাধারণ ও অপরিসীম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে সোপান তৈরি করেছেন, এর প্রেরণাদাতা ছিলেন ড. ওয়াজেদ মিয়া।’

৯ মে, বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসির মিলনায়তনে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী এ কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

মন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বামী হয়েও ওয়াজেদ মিয়া সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জামাতা হিসেবে বস্তুতপক্ষে যে পরিমাণ বা যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন ছিল, তা তিনি সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছেন।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘একটি জাতির সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে বিজ্ঞানচর্চা। ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে পথ দেখিয়ে গেছেন। আজকে আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলি, চতুর্থ বিপ্লবের কথা বলি, তখন কিন্তু বিজ্ঞানচর্চার বিষয়টি সামনে চলে আসে।’

ড. ওয়াজেদ মিয়ার মতো মানুষের অনেক দরকার ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি আমাদের নতুন প্রজন্ম থেকে ড. ওয়াজেদ মিয়াকে অনুসরণ করার মতো আমরা অনেক সন্তান পাব, যারা বিজ্ঞানচর্চা করবে, পৃথিবীর ডিজিটাল রূপান্তরে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।’

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ড. ওয়াজেদ মিয়া দেশবরেণ্য বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকারী, সাহসী দেশপ্রেমিক, রাজনীতিবিদ ও দায়িত্বশীল স্বামী। ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধাবী ছাত্র। ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ. এফ. এম. মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রিয় প্রযুক্তি/আজাদ চৌধুরী