কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চট্টগ্রাম জেলার মানচিত্র।

নগ্ন ছবি তুলে চাঁদা আদায়, নারীসহ আটক ৪

মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ মে ২০১৯, ১২:৫৩
আপডেট: ০৮ মে ২০১৯, ১২:৫৩

(প্রিয়.কম) চট্টগ্রামে এক ব্যবসায়ীকে ফাঁদে ফেলে নগ্ন ছবি তুলে চাঁদা আদায়ের চেষ্টার ঘটনায় দুই নারীসহ চারজনকে আটক করেছে সিএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

৮ মে, বুধবার ভোর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন-মো. নাসির উদ্দিন (৩৫), প্রদীপ দাশ (৩৫), হাসিনা আক্তার প্রকাশ মুক্তা (৪৫) ও ছালেহা আক্তার (৪০)।

আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনকে। তিনি নগরীর আছাদগঞ্জের শুঁটকি ব্যবসায়ী। কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এ খবর নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ভিকটিমের পরিবার অভিযোগ করেন- ৬ মে সোমবার দুপুরে ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনকে চামড়ার গুদাম এলাকা থেকে নাসির, প্রদীপসহ তিনজন অপহরণ করে। এ সময় তারা ওই ব্যবসায়ীকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় চান্দগাঁও থানার শরাফত উল্লাহ পেট্টোল পাম্পসংলগ্ন নূর মঞ্জিল নামের একটি ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়।

সেখানে তার গলায় বটি ধরে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর তার নগ্ন ছবি তুলে তারা হুমকি দেয় চার লাখ টাকা দিতে, অন্যথায় এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিবে। এরপর আলতাফ হোসেন তার ভাইকে বিকাশ নম্বর দিয়ে টাকা পাঠাতে বলেন।

ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, অপহরণ করে টাকা দাবির অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। চান্দগাঁও থানার কামালবাজার এলাকায় তাহেরিয়া ফ্যাশন নামে একটি বিকাশ এজেন্টের কাছে হাসিনা নামে একজন টাকা তুলতে গেলে তাকে আটক করে পুলিশ। এরপর তার দেওয়া তথ্যমতে নূর মঞ্জিল থেকে নাসির ও প্রদীপকে আটক করা হয়। পরে চামড়ার গুদাম এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত ছালেহাকে আটক করা হয়।

এদিকে আটক নাসিরের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী ও প্রদীপের বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা আছে। ছালেহার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে অন্তত তিনটি মামলা আছে বলে জানান ওসি।

জানা যায়, আটককৃত নাসির, প্রদীপ, হাসিনা ও ছালেহা একটি চক্রের সদস্য। তারা এ ধরনের একটি কাজ করার সঙ্গে সঙ্গেই ভাড়া নেওয়া বাসাটি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যায় এবং বাসার কোনো মালপত্র তারা নিয়ে যায় না। পুনরায় নতুন বাসায় যাওয়ার পর তারা আবার একই কার্যক্রম শুরু করে। এই চক্রটি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে এ ধরনের ৪০ থেকে ৫০টি অপরাধ করেছে। অনেকেই আত্মসম্মানের ভয়ে, তাদের তোলা ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেনি।

প্রিয় সংবাদ/রুহুল