কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শহীদ আফ্রিদির আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’ এর প্রচ্ছদ। ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ হতে পারে আফ্রিদির আত্মজীবনী

সৌরভ মাহমুদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭ মে ২০১৯, ১৪:১৪
আপডেট: ০৭ মে ২০১৯, ১৪:১৪

(প্রিয়.কম) ক্রীড়াঙ্গনের অনেক তারকাই আত্মজীবনীমূলক বই লিখেন। বইয়ে খেলোয়াড়ি জীবনের বিভিন্ন ঘটনা ও ব্যক্তিগত জীবনের টুকিটাকি ছাপার অক্ষরে তুলে ধরেন পাঠকের জন্য। এই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন শহীদ আফ্রিদিও। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে পাকিস্তানি সাবেক এই অধিনায়কের আত্মজীবনীমূলক বই ‘গেম চেঞ্জার’। এই বইয়ে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন আফ্রিদি। 

বইটিতে আফ্রিদির আসল বয়স জানা গেছে। তবে বোধ হয় সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টের স্পটফিক্সিং কাণ্ড সম্পর্কে আগেই তার টের পাওয়ার খবর। এ ছাড়া জাভেদ মিয়াঁদাদ তার ক্যারিয়ার ধ্বংসে গভীর ষড়যন্ত্র করেছিলেন, ওয়াকার ইউনিস ছিলেন ভয়ঙ্কর অধিনায়কসহ এরকম আরও অনেক তথ্য ওঠে এসেছে এই বইয়ে। সবমিলিয়ে বাজারে আফ্রিদির এই আত্মজীবনীর এখন তুমুল চাহিদা। তবে বইটি কতদিন মার্কেটে থাকে তাই এখন দেখার বিষয়।

কেননা ইতোমধ্যে আফ্রিদির বই নিষিদ্ধের দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। পাকিস্তানের সিন্ধু হাই কোর্টে (এসএইচসি) রিট পিটিশন দায়ের করেছেন দেশটির বিশিষ্ট আইনজীবী আব্দুল জলিল খান। আব্দুল জলিলের দাবি, আফ্রিদির ‘গেম চেঞ্জারে’ প্রচুর পরিমাণে মানহানিকর শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। পক্ষান্তরে সেসব সাবেক মহাতারকাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করে।

আফ্রিদির পাড়ভক্ত ও বিশিষ্ট এই আইনজীবির ভাষ্যমতে, কিংবদন্তি পাক ব্যাটসম্যান জাভেদ মিঁয়াদাদকে বোঝাতে ‘স্মল ম্যান’ এবং সাবেক ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীরের ক্ষেত্রে ‘সরিয়ল’ (বদমেজাজী) শব্দ প্রয়োগ করেছেন আফ্রিদি। এসব মানহানিকর শব্দ। এর মাধ্যমে তিনি ভক্তদের মনে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সম্মান এবং খেলাটির মর্যাদায় আঘাত করেছেন।

এখন দেখার বিষয় আদালত কী ব্যবস্থা নেয়। অবশ্য আফ্রিদির আত্মজীবনী নিয়ে কদিন ধরেই চলছে তুমুল বিতর্ক।  ‘গেম চেঞ্জার’ নামক এই আত্মজীবনীতে উল্লেখিত বিভিন্ন তথ্য বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান ক্রিকেটে অন্তর্দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম। এ নিয়ে ঝাঁজালো সম্পাদকীয় লিখেছে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্য ‘দ্য ডন’। যাতে লেখা হয়েছে, বিশ্ব আসরের আগে এই বই দলের ক্ষতি করতে পারে। শুধু তাই নয়, পাক ক্রিকেটে এক ধরনের নীরব ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’ শুরু হতে পারে বলেও লেখা হয়েছে সম্পাদকীয়টিতে।

প্রিয় খেলা/আশরাফ