চার কন্যার সঙ্গে শহীদ আফ্রিদি। ছবি: সংগৃহীত
‘নারীবাদীরা যাই বলুক, মেয়েদের ঘরের বাইরে খেলতে দিব না’
আপডেট: ০৭ মে ২০১৯, ১২:২০
(প্রিয়.কম) এক মেয়ের সঙ্গে টানা একমাস রাতভর ফোনালাপ চালিয়ে গিয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি। কিন্তু যখন তাদের দেখা হয় তখন হৃদয় ভেঙে যায় আফ্রিদির। কারণ মেয়েলি কণ্ঠের অধিকারিণী আদতে ছিলেন একজন ছেলে। প্রবল ধাক্কা খেয়েছিলেন আফ্রিদি। বলা যায় মুষড়ে পড়েন তিনি।
শোক কাটিয়ে ওঠে অবশ্য খুব দ্রতই বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েন আফ্রিদি। বাবার ইচ্ছায় ২০০০ সালের ২১ অক্টোবর মামাতো বোন নাদিয়াকে বিয়ে করেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। একে একে তাদের কোল আলো করে পৃথিবীর মুখ দেখে চার কন্যা সন্তান- আকসা, আসমারা, আনশা এবং আজওয়া।
সদ্য প্রকাশিত আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’-এ আফ্রিদি জানিয়েছেন, প্রত্যেকটা কন্যা জন্মের পর তার ভাগ্যের চাকা দুর্দান্তভাবে ঘুরেছে। শুধু তাই নয়, কন্যাদের নিজের জীবনের আশীর্বাদ বলে ব্যক্ত করেছেন তিনি।
এ নিয়ে আত্মজীবনীতে আফ্রিদি লিখেছেন, ‘গত কয়েক বছরে চার মেয়ের বাবা হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। সত্যি বলতে কী, একেকজনের জন্মের পর আমার ভাগ্যের চাকা আরও বেশি করে ঘুরেছে। সত্যি, বাবার কাছে মেয়েরা আশীর্বাদ। আমার কাছেও ওদের সবাই আশীর্বাদের মতো।’
‘আকসা এখন ক্লাস টেনে পড়ছে। আনশা পড়ছে ক্লাস নাইনে। খেলাধুলায় তারা বেশ ভালো। লেখাপড়ায় আরও ভালো। লেখাপড়া শেষ করার পর আনশা শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশনে কাজ করতে চায়। আজওয়া আর আসমারা সবচেয়ে ছোট। তারা যেমন খুশি তেমন সাজো খেলে সময় কাটায়,’ যোগ করেন আফ্রিদি।
আশীর্বাদ মানলেও আফ্রিদি অবশ্য চাননা কন্যারা ঘরের বাইরে গিয়ে কোনো খেলা খেলুক। মূলত সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনেই পাকিস্তানি এই তারকা অলরাউন্ডারের এমন সিদ্ধান্ত। এমনকি তার স্ত্রীও রাজি এই ব্যাপারে। শুধু তাই নয়, নারীবাদীরা এ নিয়ে কিছু বললেও তাতে কিছু আসে-যায় না বলে জানিয়েছেন আফ্রিদি।
এ নিয়ে আত্মজীবনীতে আফ্রিদি লিখেছেন, ‘আমি চাইব না তারা আমার মতো ক্রিকেট খেলাকে তারা পেশা হিসেবে নিক। শুধু ক্রিকেট নয়, যেসব খেলা ঘরের বাইরে গিয়ে খেলতে হয়, আমি চাই না আমার মেয়েরা সেসব খেলা খেলুক। হ্যাঁ, ঘরের ভেতরে যেকোনো খেলায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে তারা গড়তে পারে। কিন্তু ঘরের বাইরের কোনো খেলায় আমার মত নেই। ওদের মায়ের সঙ্গেও আমি এ নিয়ে কথা বলেছি। সেও আমার সঙ্গে একমত। সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসনের কথা বিবেচনায় রেখেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নারীবাদীরা আমাকে যা খুশি বলতে পারেন, আমার তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি।’
প্রিয় খেলা/আশরাফ