প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ফাইল ছবি
‘লিগ্যাল এইড দেওয়ার ক্ষেত্রে মামলার গুণাগুণ বিবচনা করতে হবে’
আপডেট: ০৫ মে ২০১৯, ২২:২৭
(প্রিয়.কম) লিগ্যাল এইড দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির আর্থিক অস্বচ্ছলতাসহ অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে মামলার গুণাগুণও বিবেচনা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
৫ মে, রবিবার সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, সমাজের সবচেয়ে নির্যাতিত-নিপীড়িত ব্যক্তি বিশেষভাবে নারী ও শিশুরা লিগ্যাল এইড থেকে যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। লিগ্যাল এইড বিষয়ক আইন-কানুনকে প্রতিটি ল’ স্কুলের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যেন শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ের ওপর বিস্তৃত জ্ঞান লাভ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সুপ্রিম কোর্টে সরকারি আইন সেবা কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। আইনজীবীদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ যাতে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অসহায় ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মামলাসমূহ পরিচালনা ও নিষ্পত্তিতে সহায়তা করেন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
একই অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘অসহায় বিচারপ্রার্থীদের যত দ্রুত আইনি সেবা দেওয়া যাবে, তত বেশি তারা আইন সহায়তার সুফল পাবেন। এখন পর্যন্ত আইনি সেবা বলতে আমরা আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য আর্থিক সহায়তাকেই বুঝি। আইনি বিষয়ে তথ্য প্রদান, পরামর্শ ও মীমাংসাও কিন্তু কার্যকর আইন সহায়তা। কিছু কিছু বিষয়ে আইন সহায়তা প্রদানকালে পুঁথিগত আইন প্রয়োগের দৃষ্টির পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণকেও স্থান দেওয়া উচিত।’
অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বলেন, নারী, শিশু ও অসহায় মানুষের ওপর নির্যাতন বেড়ে গেছে। পত্রিকায় এসব ঘটনা প্রচুর উঠে আসছে। এসব ঘটনায় প্রভাবশালীরা আইনি মারপ্যাচে বিচার বন্ধ রাখেন। সেটা যাতে না হয় সে ব্যাপারে লিগ্যাল এইড কমিটির মনিটরিং করা দরকার।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রিয় সংবাদ/রিমন