কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কোচের অপছন্দের তালিকায় থাকার কারণটাও বইয়ে উল্লেখ করেছেন আফ্রিদি। ছবি: সংগৃহীত

আফ্রিদির ক্যারিয়ার ধ্বংসে ষড়যন্ত্র করেছিলেন মিয়াঁদাদ

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ০৩ মে ২০১৯, ১৬:১৯
আপডেট: ০৩ মে ২০১৯, ১৬:১৯

(প্রিয়.কম) জাতীয় দলের জার্সি তুলে রেখেছেন গেল বছর মে মাসে। কিন্তু মাঠের সঙ্গে এখন পর্যন্ত সম্পর্কের ইতি টানেননি শহীদ আফ্রিদি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। এরই মধ্যে আত্মজীবনীমূলক বই লিখছেন তিনি।

জীবনের প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত সব কথা ভক্তদের সামনে তুলে ধরতেই আত্মজীবনীমূলক বইটি লিখেছেন আফ্রিদি। গেল ৩০ এপ্রিল ‘গেম চেঞ্জার’ নামক বইটি বাজারে এসেছে। এই বইটি লেখার কাজে আফ্রিদিকে সহায়তা করেছেন জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক ও সম্প্রচারক ওয়াজাহাত খান। কিন্তু আফ্রিদির আত্মজীবনী বাজারে আসতেই নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছে।

ক্যারিয়ারের সব চড়াই-উতরাই, আলোচনা-সমালোচনা, বিতর্কের বিষয়গুলো বইয়ে তুলে ধরেছেন আফ্রিদি। সেখানে নিজের আসল বয়স জানানোর পাশাপাশি আফ্রিদি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার এবং কোচ জাভেদ মিয়াঁদাদ তাকে পছন্দ করতেন না। কেবল তাই নয়। আফ্রিদির দাবি, তার ক্যারিয়ার ধ্বংসেও নানা ষড়যন্ত্র করেছেন মিয়াঁদাদ।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফ্রিদির পথচলা শুরু ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর। কেনিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে মাত্র ১৭ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তার। এরপর ১৯৯৯ সালে ভারত সিরিজের জন্য পাকিস্তানের টেস্ট দলে ডাক পান আফ্রিদি। ওই সময় জাতীয় দলের কোচ ছিলেন মিয়াঁদাদ।

আফ্রিদি বলেন, ‘ওই সময়ে মিয়াঁদাদ আমাকে দল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য ব্যাপক চেষ্টা করেছেন। এমনকি ভারতের বিপক্ষে টেস্টের আগে দলের অনুশীলনে অংশ নিতে আমাকে অনুমতি দেননি।’

কোচের অপছন্দের তালিকায় থাকার কারণটাও অবশ্য বইয়ে উল্লেখ করেছেন আফ্রিদি। তার ভাষ্য, ‘তিনি (মিয়াঁদাদ) আমার ব্যাটিং স্টাইল পছন্দ করতেন না। প্রায়ই তা পরিবর্তনে আমাকে জোর করতেন।’

পরে অবশ্য জবাবটা ব্যাট হাতেই দিয়েছিলেন আফ্রিদি। চেন্নাইয়ে নিজের অভিষেক টেস্টে খেলেন ১৪৪ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস। আফ্রিদির দাবি, ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে নিজের সুনাম করতে মিয়াঁদাদ তাকে অনুরোধ করেছিলেন।

আফ্রিদি তার বইয়ে লিখেছেন, ‘উনি আমাকে তার সুনাম করতে বলেন। শুধু পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে নয়, সাক্ষাৎকারেও তার প্রশংসা করতে বলেন। আমাকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ‘‘সাংবাদিকদের তুমি বলবে; আমি তোমাকে পরিণত হতে সহায়তা করেছি।’’

প্রিয় খেলা/রুহুল