কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও তার একমাত্র কন্যা আরাধ্য। ছবি: সংগৃহীত

মেয়ের হাত ধরায় নেট দুনিয়ায় আবারও ঐশ্বরিয়ার সমালোচনা (ভিডিও)

শামীমা সীমা
সহ সম্পাদক
প্রকাশিত: ০১ মে ২০১৯, ২১:৫৮
আপডেট: ০১ মে ২০১৯, ২১:৫৮

(প্রিয়.কম) ২০০৭ সালে ভালোবেসে একে অপরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই। সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী ও অভিনেত্রীর কোল আলো করে ২০১১ সালে আসে কন্যা সন্তান আরাধ্য। মেয়েকে সর্বক্ষণ আগলে রাখেন ঐশ্বরিয়া। অন্যান্য মায়ের মতো আট বছর বয়সী মেয়ের হাত ছাড়তে কখনো দেখা যায়নি এই বলিউড অভিনেত্রীকে। আর এই স্বাভাবিক বিষয়টিকে নিয়ে নেটিজেনদের ট্রোলের শিকার হচ্ছেন ঐশ্বরিয়া।

ঘটনাটি এমন, গত ২৯ এপ্রিল মুম্বাইয়ের একটি রেস্তোরাঁয় সপরিবারে নৈশ ভোজনে বেরিয়েছিল বচ্চন পরিবার। ঐশ্বরিয়ার পরনে ধূসর রঙের শ্রাগ, গোড়ালির ওপর পর্যন্ত লম্বা জিনস, সাদা টি-শার্ট, মেয়ে আরাধ্যর পরনে সাদা হলুদ ফুল করা হাতাকাটা জামা, মাথায় হেয়ার ব্যান্ড। সেখানে আরাধ্যর হাত ধরে চলতে দেখা গেছে ঐশ্বরিয়াকে। তারপরেই ট্রোল হলেন তারা নেট দুনিয়ায়।

মেয়ে আরাধ্যর হাত ধরে হাঁটা কিংবা আরাধ্যকে ঐশ্বরিয়ার কোলে দেখা মানেই সমালোচনার বিষয়বস্তু। একাধিক বার এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন নায়িকা। মেয়ের স্বাধীনতা আছে, তাকেও তো একা চলতে শিখতে হবে, সবসময় মায়ের হাত ধরে থাকলে হবে কীভাবে—এটাই নিন্দুকদের প্রশ্ন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছবি পোস্ট করেও সমালোচনা করা হচ্ছে মা-মেয়ের।

এবারই প্রথম নয়, সবসময় মেয়ের হাত ধরে থাকতে দেখা যায় ঐশ্বরিয়াকে। শুধু হাত ধরা নয়, এখনো মেয়েকে কোলে নিয়েও ঘুরে বেড়ান তিনি। এদিকে ছবিগুলো দেখে কেউ বলেছেন, আরাধ্যর বিষয়ে বেশি মাত্রায় সচেতন ঐশ্বরিয়া। অনেকে নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন মা-মেয়ের এই হাত ধরে চলার বিষয়টির প্রেক্ষিতে। কেউ বলেছেন, ‘আরাধ্যকে স্বাধীনভাবে বাঁচতে দাও’। কেউ বলেছেন, ‘বেশি বাড়াবাড়ি রকমের আগলে রাখার প্রবণতা রয়েছে ঐশ্বরিয়ার।’

আবার কারো মতে, সারাক্ষণ আড়াল করে রেখে আরাধ্যর আত্মবিশ্বাস একেবারে শেষ করে দিচ্ছেন ঐশ্বরিয়া। মা হিসেবে সন্তানকে কোথাও বাকি দুনিয়ার সঙ্গে লড়াই থেকে পিছিয়ে দিচ্ছেন।

আবার কারো মতে, ঐশ্বরিয়া এমনভাবে সবসময় আরাধ্যর হাত ধরে থাকেন, যা দেখে মনে হয় আরাধ্য নিজে চলাফেরা করতে পারে না।

সূত্র: এনডিটিভি

প্রিয় বিনোদন/আজাদ চৌধুরী