কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছয় বছর বয়সে মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে রিয়ান পরাগ (প্রথম ছবিতে), চলমান আইপিএলে ধোনি-পরাগ (দ্বিতীয় ছবিতে)। ছবি: সংগৃহীত

বাবা-ছেলে দুজনকেই আউট করলেন ধোনি!

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:২২
আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:২২

(প্রিয়.কম) ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনির অভিষেক হয় যখন তখন তার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। এর তিন বছর পর অর্থাৎ ২০০৭ সালে তার বয়স যখন ছয় বছর, তখন ধোনির সঙ্গে প্রথম বারের মতো সাক্ষাৎ হয়েছিল তার। সেবার গুয়াহাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ওয়ানডে সিরিজ চলাকালে ধোনির সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছিল খুদে রিয়ান পরাগ। ওই সময় প্রিয় ক্রিকেটারের সঙ্গে ছবিও তুলেছিলেন তিনি।

এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় এক যুগ। এক যুগ পর প্রিয় ক্রিকেটারের প্রতিপক্ষ হিসেবেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) মাতাতে দেখা যাচ্ছে সেদিনের রিয়ান পরাগকে। বর্তমানে রিয়ানের বয়স ১৭। এবারের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলছেন তিনি।

গেল ১১ এপ্রিল চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় পরাগের। কাকতালীয়ভাবে সেই ম্যাচে পরাগের প্রতিপক্ষ ছিল ধোনির দল চেন্নাই। কেবল তা-ই নয়, ওই ম্যাচে ধোনির গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েই সাজঘরে ফেরেন তিনি। এদিন ইনিংসের ১৫তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরের করা শেষ বলে ক্যাচ নিয়ে পরাগকে সাজঘরে ফেরান ধোনি। ধোনির গ্লাভসে ধরা পড়ার আগে ১৪ বলে ২টি চারে ১৬ রান আসে পরাগের ব্যাট থেকে।

এই ক্যাচটা নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী করেছেন ধোনি। এর আগে রিয়ানের বাবা পরাগ দাসকেও তালুবন্দী করেছিলেন অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক। ১৯৯৯-০০ মৌসুমে মাত্র ১৮ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয়েছিলেন ধোনি। সেবার বিহারের হয়ে আসামের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ওই ম্যাচটিতে রিয়ানের বাবা পরাগ দাস খেলেছিলেন আসামের হয়ে। শুধু তা-ই নয়, ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ধোনির হাতেই স্টাম্পড হয়েছিলেন তিনি।

এবারের আসর দিয়ে আইপিএলে পথচলা শুরু হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও আগে অভিষেক হয়েছে রিয়ানের। ২০১৬-১৭ মৌসুমে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে আসামের এই ক্রিকেটারের। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতের যুব দলের সদস্য ছিলেন তিনি। এ ছাড়া ভারতের হয়ে ইতোমধ্যেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছেন আসামের এই যুবক।

প্রিয় খেলা/আজাদ চৌধুরী