কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

২০৬ কেজি ওজনের এক ব্যক্তি ওজন কমাতে এতদিন না খেয়ে ছিলেন। প্রতীকী ছবিটি সংগৃহীত

৩৮২ দিন কোনো খাবার খাননি তিনি!

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:৪৮
আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:৪৮

(প্রিয়.কম) অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন, একজন মানুষের শরীর এতদিন না খেয়ে কী করে বেঁচে থাকে! অবাক হলেও সত্যি, তবে এর পেছনে রয়েছে বিশেষ পরিস্থিতি।

১৯৭৩ সালে পোস্টগ্র্যাড মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত ইউনিভার্সিটি অব ডান্ডি স্কুল অব মেডিসিনের এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, স্কটল্যান্ডের এক ‘গ্রসলি ওবিস’ বা ভয়াবহ মোটা, ২৭ বছর বয়সী ব্যক্তি ওজন কমানোর জন্য ৩৮২ দিন না খেয়ে ছিলেন। আসলেই দেখা যায়, তিনি ২০৬ কেজি থেকে কমে ৮১ কেজি ওজনে চলে আসেন। এর পাঁচ বছর পরেও তার ওজন ছিল ৮৮ কেজি।

ওই ব্যক্তি আসলে এতদিন না খেয়ে থাকার চিন্তা করেননি প্রথমে। কিন্তু উপকার পাওয়াতে তিনি তা চালিয়ে যান। সবচেয়ে লম্বা উপবাস হিসেবে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ওঠে এই ঘটনা।

তিনি কোনো শক্ত খাবার খাননি। তবে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম সাপ্লিমেন্ট, ভিটামিন ও অল্প পরিমাণে ইস্ট (যাতে প্রোটিন আছে) তাকে দেওয়া হয়। প্রতি ৩৭-৪৮ দিন পর পর একবার মলত্যাগ করতেন তিনি।  রক্তে সুগারের পরিমাণ ও প্লাজমা ইলেকট্রোলাইট ঠিক আছে কি না জানতে তিনি নিয়মিত হাসপাতালে যেতেন। সময়ের সঙ্গে এ দুটোই কমে আসে, এরপরেও তিনি সুস্থ ও ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন।

কিন্তু তা কী করে সম্ভব?

আপনি যদি সারা দিন স্বাভাবিক নিয়মে খাবার খান, তাহলে রক্তে এবং লিভারে থাকা গ্লুকোজ থেকেই শক্তি পাবে শরীর। কিন্তু রক্ত বা লিভারে গ্লুকোজ না থাকলে (উপবাস চলাকালীন) আমাদের শরীর গ্লাইকোজেন থেকেও শক্তি নিতে পারে। গ্লাইকোজেন হলো এমন একধরনের শর্করা, যা পেশি ও লিভারে জমা থাকে। এ ছাড়া শরীরের চর্বি থেকে গ্লিসারল ও তা থেকে গ্লুকোজ তৈরি করতে পারে আমাদের শরীর।

ওই ব্যক্তির শরীরে প্রচুর ফ্যাট ছিল, তাই তিনি এমন লম্বা সময় না খেয়েও ভালো ছিলেন। শুধু সাপ্লিমেন্ট ও ভিটামিন খাওয়া দরকার হয়েছিল। কিন্তু পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ইস্ট সাপ্লিমেন্ট না পেলে তিনি মারা যেতেন।

এই উদাহরণ দেখে কিন্তু ধরে নেওয়া যাবে না যে টানা কিছুদিন উপবাস করলেই আপনার ওজন কমবে। এ কাজ করতে গিয়ে অনেক মানুষ মারা গেছেন। তাই আপনার ওজন কমানোর ইচ্ছে থাকলেও এ পথে হাঁটবেন না।

সূত্র: আইএফএলসায়েন্স

প্রিয় লাইফ/আজাদ চৌধুরী