কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নৃশংস বোমা হামলায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন লঙ্কানরা। ছবি: সংগৃহীত

হামলার প্রভাব ক্রিকেটে, শ্রীলঙ্কায় আটকা পড়েছে তিনটি বিদেশি ক্রিকেট দল

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৩২
আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৩২

(প্রিয়.কম) নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলায় ঘটনায় মুষড়ে পড়েছিল পুরো বিশ্ব। থমকে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট। আরেকটু এদিক-সেদিক হলেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। একটি টেস্ট বাকি থাকতেই দেশে ফিরেছিল তামিম-মুশফিকরা। শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে গির্জা ও হোটেল হামলার প্রভাবও পড়েছে ক্রিকেটে। নৃশংস এই হামলায় ওলট-পালট হয়ে গেছে লঙ্কানদের ক্রিকেট পরিকল্পনা।

শ্রীলঙ্কা অবশ্য নিউজিল্যান্ডের মতো কাছ থেকে বিপদ দেখেনি। ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারত পুরো একটি দল। সেখানে লঙ্কান ক্রিকেটার দাসুন শানাকা ও তার পরিবারের দুই সদস্য ছাড়া কেউ বিপদে পড়েনি। তবু এই হামলা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে কঠিন সময়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

ভয়াবহ সেই হামলার সময় শ্রীলঙ্কা সফরে ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বয়সী তিনটি দল। যে দল তিনটি এখনও শ্রীলঙ্কাতেই আছে। দলগুলো হচ্ছে ক্যানবেরার অনূর্ধ্ব-১৩, সিডনির অনূর্ধ্ব-১৫ এবং পার্থের নারী ক্রিকেট দল। তারা ম্যাচ খেলতে মাঠে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। দ্রুত শ্রীলঙ্কা ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানানো তিনটি দলের ক্রিকেটাররা ভুলেও হোটেল থেকে বের হচ্ছেন না।

কিন্তু হোটেলও যে নিরাপদ নয়, সেটা হামলাই বলে দিচ্ছে। কারণ তিনটি গির্জার পাশাপাশি তিনটি অভিজাত হোটেলে বোমা হামলা করে সন্ত্রাসীরা। তাই কোনো অবস্থাতেই আর শ্রীলঙ্কাতে থাকতে চায় না দল তিনটি। যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে তারা।

এ বিষয়ে দাতব্য প্রতিষ্ঠান গুডনেসের প্রতিষ্ঠাতা কুশীল গুনাসেকেরা বলেন, ‘৬০টি দলকে আমরা শ্রীলঙ্কায় আমন্ত্রণ করেছিলাম। বেশিরভাগ দল ছিল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার তিনটি দল শ্রীলঙ্কায় আছে। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকার কারণে দলগুলোর খেলোয়াড়রা কোনো অবস্থাতেই হোটেল ছাড়তে রাজি নয়। তারা দ্রুত শ্রীলঙ্কা ছাড়তে চায়।’ আরও যেসব দলের শ্রীলঙ্কায় আসার কথা ছিল, তারা সফর বাতিল করতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত রোববার কলম্বোতে ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় ভয়াবহ বোমা হামলা হয়। তিনটি গির্জা ও তিনটি বিলাসবহুল হোটেলে বোমা হামলায় ৩৫৯ জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে ৩৮ জন বিদেশি ও ৪৫ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া ৫০০ জনের বেশি মানুষ আহত হন।