জগিং করতে বের হয়েই আপনি এই কাজটি করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে কী করছেন আপনি?
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:১২
(প্রিয়.কম) ব্যায়াম করতে গিয়ে আমরা সবার আগেই ভাবি তা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো করতে কাজে আসবে। কিন্তু সেটা যদি পরিবেশের উপকারেও আসে, তাহলে কেমন হয় বলুন তো?
সুইডেনে এমনই এক ট্রেন্ড দেখা গেছে, যার নাম হলো ‘প্লগিং’। মূলত জগিং করার সময় আশপাশে ছড়িয়ে থাকা ময়লা একটি ব্যাগে নেওয়া এবং জগিং শেষে জায়গামতো সেই ময়লা ফেলে দেওয়াই প্লগিং। ২২ এপ্রিল, সোমবার বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে পৃথিবীর উপকারে এই কাজটির অভ্যাস করতে পারেন আপনিও।
ব্যাপারটা খুব সহজ মনে হচ্ছে, তাই না? সহজ বলেই সুইডেন থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই ধারণাটি। ইনস্টাগ্রামে #plogging হ্যাশট্যাগ খুললেই দেখতে পাবেন রাশিয়া, ভারত, জাপান ও ইতালিতে চলছে এই কাজটি। আমেরিকাতেও তা শুরু হয়েছে সম্প্রতি।
যারা সকাল সকাল বাইরে জগিং করতে যান, তারা সহজেই প্লগিং করতে পারেন। জগিং করার সময়ে পকেটে একটা বড় ব্যাগ নিয়ে নিন। জগিং করতে করতেই আশপাশের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন; যেমন বোতল, খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিক ইত্যাদি। আপনি যেসব জিনিস ধরতে চান না (যেমন সিরিঞ্জ) সেগুলো ধরার দরকার নেই। এরপর ডাস্টবিনে ফেলে দিন ব্যাগটাকে।
সহজেই বোঝা যাচ্ছে, আশপাশের পরিবেশ সুন্দর ও পরিষ্কার করে তুলতে পারে প্লগিং। কিন্তু এতে কি আপনার স্বাস্থ্যের কোনো উপকার হবে? হ্যাঁ, হবে, জগিংয়ের মাঝে মাঝে আপনাকে উবু হয়ে বসে ময়লা তুলতে হবে, এতে স্কোয়াটিংয়ের উপকারিতা পাবেন। এতে কার্ডিও ব্যায়ামের পাশাপাশি পেশির জন্য উপকারী ব্যায়ামটাও পাচ্ছেন আপনি।
আপনি প্লগিং করতে বের হলে শুরুতে ভালোভাবে ওয়ার্মআপ করে নিন। এ ছাড়া লাইফসাম নামের একটি ফিটনেস অ্যাপ আছে, যা ব্যবহার করলে আপনি প্লগিংকেও ব্যায়ামের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন এবং এতে কত ক্যালোরি খরচ হচ্ছে দেখতে পারবেন। ৩০ মিনিট জগিং করলে ২৩৫ ক্যালোরি খরচ হয়, অন্যদিকে প্লগিং করলে খরচ হয় ২৮৮ ক্যালোরি।
যারা আসলে জগিং করতে পছন্দ করেন না, তারা প্লগিং করলে তাদের মনোযোগটা অন্যদিকে থাকবে; আপনি সহজে ক্লান্ত হবেন না, এমনকি এটাকে ব্যায়াম বলেও মনে হবে না। আর ব্যায়ামের শেষে যখন দেখবেন অনেকটা ময়লা পরিষ্কার করে ফেলেছেন, তখন মনটা এমনিতেও ভালো হয়ে যাবে।
সূত্র: পপসুগার
প্রিয় লাইফ/আজাদ চৌধুরী