বিপিও সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
আইটি ইন্ডাস্ট্রি শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক হবে না: জয়
আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৫৪
(প্রিয়.কম) আইটি ইন্ডাস্ট্রি শুধু ঢাকা বা চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক নয়, সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
২১ এপ্রিল, রবিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বিপিও সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে জয় বলেন, ‘এতদিন দেশের সব উন্নয়ন ঢাকা-চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক ছিল। গোটা দেশই অবহেলিত ছিল। আমাদের লক্ষ্য, বিশেষ করে আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য ছিল, আইটি ইন্ডাস্ট্রি ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। সেই লক্ষ্য থেকে ২০টি ডিজিটাল হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হলো বা হচ্ছে এবং সেগুলো দেশজুড়ে গড়ে তোলা হলো।’
‘শুধু হাইটেক পার্ক নয়, সরকার সারাদেশে ফাইবার অপটিক ক্যাবল ছড়িয়ে দিচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে এই ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সংযোগ বিস্তৃত করা হয়। এখন স্থানীয় সরকারের ক্ষুদ্রতম ইউনিট ইউনিয়ন পর্যায়েও তা ছড়িয়ে যাচ্ছে।’, যোগ করেন তিনি।
১০ বছর আগেও দেশের মানুষ ভাবতে পারেনি বিপিও খাতবিষয়ক আলাদা একটি খাত তৈরি হতে পারে। বাংলাদেশ ওই স্থানে পৌঁঁছেছে এমনটি উল্লেখ করে জয় বলেন, ’বিপিও ও হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করতে আইসিটি বিভাগ বছরে ৫০ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। নারী ক্ষমতায়ন আমাদের আরেকটি অগ্রাধিকার। তাই এই ৫০ হাজার প্রশিক্ষণার্থীর বাইরে আরও ১০ হাজার নারীকে আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যদিও আগের ৫০ হাজারের মধ্যেও প্রায় ৩০ শতাংশই নারী। এ ছাড়া সরকারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারীদের নিয়োগ দিচ্ছে কর্মক্ষেত্রে। আমরা চাই, আইটি ও বিপিও খাতেও নারীরা পুরুষের সমপরিমাণে নিয়োগ পান।’
বিপিও ইন্ডাস্ট্রিতে নিত্যনতুন উদ্ভাবনের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বিপিও ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতি আমার বার্তা হলো-উদ্ভাবন করুন, নতুন প্রযুক্তি খুঁজে বের করুন। কাউকে নকল বা অনুকরণ করবেন না, উদ্ভাবন করুন।’
জয় আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিশ্বকে আজ নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা তাদের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা করতে পারব না। এটা খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদেরও সেটা করতে হবে। আমাদের তথ্য-প্রযুক্তি খাত এখনও খুবই নতুন।’
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার উল্লেখ করে জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অর্জনে আমি খুবই গর্বিত। এর অংশীদার হতে পেরেও আমি গর্ববোধ করি। বিশেষ করে এজন্য আরও গর্ববোধ করি যে, আমাদের বিপিও খাতে অনেক তরুণ-তরুণীরা কাজ করছেন। বাংলাদেশে এটা সাধারণত দেখা যায় না। তারা নিজেদের দক্ষতায় এই খাতে কাজ করছেন। তারা প্রচলিত সরকারি চাকরির পেছনে ছুটছেন না।’
প্রিয় প্রযুক্তি/রুহুল