বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছবি: সংগৃহীত
‘মিডিয়ায় কোনো ধরনের সেন্সরশিপ আরোপ করছে না সরকার’
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৫১
(বাসস) বাংলাদেশে গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার’-এর প্রতিবেদন নাকচ করেছেন।
১৯ এপ্রিল, শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘রূপসী বাংলা জাতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রতিযোগিতা এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠান’-এ যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ওই জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান চার ধাপ নিচে নেমে ১৫০তম হয়েছে।
‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার’ কর্তৃক তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত ‘প্রেস ফ্রিডম সার্ভে ইনডেক্স’-এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘সরকার মিডিয়ায় কোনো ধরনের সেন্সরশিপ করছে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ওই প্রতিবেদনের সাথে একমত না এবং আমি মনে করি বাংলাদেশে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে।’
ড. হাছান বলেন, ‘সংগঠনটির সূত্রে আমি জানি শীর্ষ ১০টি দেশে সংবাদ প্রকাশে অনেক বিধি-নিষেধ রয়েছে। এমনকি তাদেরকে (গণমাধ্যম) যেকোনো ভুল সংবাদের জন্য জরিমানা দিতে হয়। আমি জানি না তারা কীভাবে জরিপ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং গত ১০ বছরে গণমাধ্যম শিল্পে একটি বিপ্লব ঘটেছে। সংবাদপত্রের সংখ্যা সাতশ’ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এক হাজার দুইশ’ হয়েছে এবং ৩৩টি ইলেকট্রনিক মিডিয়া সম্প্রচার চালাচ্ছে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. হাছান ফটোসাংবাদিকতা পেশায় নতুনদের উৎসাহিত করার জন্য প্রতি বছর এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করার জন্য বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি আহ্বান জানান।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমির সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান, বিপিজেএর সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
পরে মন্ত্রী তিনজন প্রবীণ ফটো সাংবাদিকের (মরণোত্তর) পরিবারের সদস্যদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
এই তিন সাংবাদিক হচ্ছেন—এস এম মোজাম্মেল হোসেন, মোশাররফ হোসেন লাল ও জহিরুল হক।
প্রিয় সংবাদ/কামরুল/আজাদ চৌধুরী