কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিটিআরসির লোগো

‘প্রশ্নবিদ্ধ’ নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রত্যাহারের দাবি গ্রামীণফোনের

রাকিবুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ২০:০৮
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ২০:০৮

(প্রিয়.কম) গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা চেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির দেওয়া চিঠির খবর পুরনো। সেই সময়ে বিটিআরসির দাবিকৃত পাওনা টাকার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিল গ্রামীণফোন।

এবার মোবাইল অপারেটরটি সরাসরি বিটিআরসি কর্তৃক পরিচালিত ওই নিরীক্ষা বা অডিট প্রতিবেদনের বিপরীতে পাওনা টাকার দাবিকে ‘আইনগতভাবে ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে। একই সঙ্গে এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এ অপারেটরটি।

১৬ এপ্রিল, মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন তথ্য দিয়েছে গ্রামীণফোন।

গ্রামীণফোন জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিটিআরসিকে দেওয়া এক চিঠিতে ওই নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তারা। একই সঙ্গে চিঠিতে যুক্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের ২ এপ্রিল একটি দাবিনামার মাধ্যমে বিটিআরসিকে আট হাজার ৪৯৪.০১ কোটি টাকা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চার হাজার ৮৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা পরবর্তী ১০ কর্মদিবসে পরিশোধ করতে গ্রামীণফোনকে নির্দেশনা দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

গ্রামীণফোনের ভাষ্য, বিটিআরসি কর্তৃক নিয়োগকৃত জেভিসিএ অব তােহা খান জামান অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি অডিট ফার্ম গ্রামীণফোনের ১৯৯৭ সালে যাত্রা থেকে শুরু করে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ইনফরমেশন অ্যান্ড সিস্টেম অডিট পরিচালনা করে এই টাকা দাবি করে। এই অডিটে বিটিআরসি কর্তৃক দাবিকৃত আট হাজার ৪৯৪.০১ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৭৩% বা ৬ হাজার ১৯৪.৩ কোটি টাকাই হলো সুদ, যা ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

মোবাইল অপারেটরটি বলছে, বিটিআরসি আরেকটি ইনফরমেশন অ্যান্ড সিস্টেম অডিটের মাধ্যমে ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়কালে গ্রামীণফোনের কাছে থেকে তিন হাজার ৩৪ কোটি টাকা পাবে বলে দাবি করে। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশন সেই অডিটের অডিটর নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। বিটিআরসি ১৯৯৭-২০১১ সময়কালের পূর্ববর্তী অডিটের দাবি নিয়ে আদালতে একদিকে তাদের আইনগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সালের অডিটে এখন ১২ হাজার ৫৭৯.৯৫ কোটি টাকা দাবি করছে। ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়কালের জন্য বিটিআরসি দুটি দাবি করছে।

গ্রামীণফোনের দাবি, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে অডিটের প্রতিবেদনের ওপরে আনুষ্ঠানিক জবাব দিতে বলে। গ্রামীণফোন নির্ধারিত সময়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও যুক্তি দাখিল করে। কিন্তু বিটিআরসি তাদের দাবিনামায় শুধু ২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেওয়া গ্রামীণফোনের ব্যাখ্যা আমলে নিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে অডিটের দাবি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে বিটিআরসিকে একটি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য ফের আলোচনার দাবি জানিয়েছে।

এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সঙ্গে অনেকবার আলোচনা এবং অডিটরকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করার পরেও আমাদের যুক্তিগুলো অডিট প্রতিবেদনে প্রতিফলিত না হওয়া খুবই দুঃখজনক। অডিট চলাকালীন পুরো সময়ে আমরা বারংবার অডিট প্রক্রিয়ার ত্রুটিগুলো তুলে ধরেছি। কিন্তু আমাদের মতামতকে দাবিনামায় সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।’

এদিকে গ্রামীণফোনের এমন বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে বিটিআরসির উচ্চপদস্থ দুজন কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে প্রিয়.কম। একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।

প্রিয় প্রযুক্তি/রিমন/আজাদ চৌধুরী