‘রুম টেম্পারেচার’ ডিম ব্যবহার করুন। ছবি: সংগৃহীত
বেকিংয়ের সময়ে ছোট্ট এই ভুলটি করছেন না তো?
আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৯, ১৫:৪৬
(প্রিয়.কম) বেকিং রেসিপি দেখলে খেয়াল করে থাকবেন, অনেক সময়েই এতে ‘রুম টেম্পারেচার এগ’ অর্থাৎ কক্ষ তাপমাত্রায় থাকা ডিম ব্যবহার করতে বলা হয়। এটাকে ছোট একটা বিষয় বলে অনেকেই এড়িয়ে যান, আর ফ্রিজ থেকে ডিম বের করে সরাসরি ব্যাটারে দিয়ে দেন। এ কাজটিতে কিন্তু খাবারের স্বাদে অনেক বড় পরিবর্তন আসতে পারে।
বেকিং করার সময়ে কেন রুম টেম্পারেচার এগ ব্যবহার করতে বলা হয়? একটা ব্যাপার ভাবুন, ফ্রিজে রাখা শক্ত মাখন ব্যাটারে মেশানো কঠিন, তাই না? মাখন গলিয়ে নিলে তা সহজে মেশানো যায়। একই কথা ডিমের ক্ষেত্রেও খাটে। ডিম কক্ষ তাপমাত্রায় এলে তা ব্যাটারে মেশানো যায় ভালোভাবে।
কক্ষ তাপমাত্রায় সহজেই কুসুম ভেঙে যায় এবং অন্য উপাদানের সাথে সুন্দরভাবে মেশানো যায়। বিশেষ করে চিজ কেকের মতো খাবারগুলো তৈরির জন্য ঠান্ডা ডিম ব্যবহার করা যাবে না। এতে চিজ কেকের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে।
ডিমের কুসুম আর সাদা অংশ যদি আলাদা করতে বলা হয়, সেক্ষেত্রে কিন্তু ঠান্ডা ডিম ব্যবহার করতে হবে। কারন ঠান্ডা ডিমের কুসুমটা সহজে আলাদা হয়ে যায়। এরপর সাদা অংশ আর কুসুম আলাদা বাটিতে রেখে দিন কক্ষ তাপমাত্রায় না আসা পর্যন্ত।
রুম টেম্পারেচারের ডিম ব্যবহার করার আরেকটি সুবিধা হলো, এই তাপমাত্রায় ডিম বিট করা হলে তা ফুলে ওঠে বেশি, এবং তা বেশি ফ্লাফি হয়। অ্যাঞ্জেল ফুড কেক বা মেরাং তৈরি করতে এই ব্যাপারটা জরুরি। বিট বা হুইপ করার পর সাথে সাথেই এই ডিম ব্যবহার করতে হবে।
ডিমকে রুম টেম্পারেচারে আনার উপায় কী? ফ্রিজ থেকে বের করে ৩০ মিনিট রেখে দিলেই তার ঠান্ডাভাব চলে যাবে। কিন্তু আপনার মনে নেই ডিমকে ফ্রিজ থেকে বের করার কথা। তখন ব্যাটার তৈরির আগে ডিম বের করে একটি পাত্রে নিন। কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে এর ওপর ঢাকনা চাপা দিয়ে দিন।
ডিমের কুসুম আর সাদা অংশ আলাদা করতে বলা হলে, আলাদা করে দুইটি বাটিতে রাখুন। বড় একটি বোলে কুসুম গরম পানি নিয়ে তাতে ওই দুইটি বাটি বসিয়ে দিন ও ১০-১৫ মিনিট রাখুন। এক্ষেত্রে প্লাস্টিক বা কাঁচের বাটির চেয়ে স্টেইনলেস স্টিলের বাটি ব্যবহার করা ভালো।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট
প্রিয় লাইফ/আশরাফ