কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কুইন্টন ডি কক। ছবি: সংগৃহীত

‘আমি স্কুল শেষ করতে না পারলেও ক্রিকেটে আমার মাস্টার্স ডিগ্রি আছে’

সৌরভ মাহমুদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০১৯, ১৬:২২
আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯, ১৬:২২

(প্রিয়.কম) কুইন্টন ডি কক—ক্যারিয়ারের বিস্ময়কর সূচনায় প্রথম ১৯ ইনিংসেই গড়েছিলেন পাঁচ সেঞ্চুরির দুর্দান্ত কীর্তি। যদিও এর পরের সেঞ্চুরির দেখা পেতে বাঁহাতি এই ব্যাটিং প্রতিভার অপেক্ষা করতে হয় ১৫ ইনিংস। মাঝে দলে জায়গাও হারিয়েছিলেন ক’দিনের জন্য; তবে ফিরেছেন দোর্দণ্ড দাপটে। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তিনি।

ডি কক ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটের পেছনটাও সামলাচ্ছেন দক্ষ হাতেই। দিয়েছেন দলকে নেতৃত্বও। যদিও এই ক্রিকেটের কারণে পেরোনো হয়নি স্কুলের গণ্ডি। যার জেরে সতীর্থ ও সমর্থকদের অনেকে ডি কককে স্থূলবুদ্ধির ক্রিকেটারও বলে থাকেন। এ ছাড়া অলস বলেও তার কুখ্যাতি রয়েছে। তবে প্রোটিয়া এই ক্রিকেটারের ক্রিকেট প্রতিভা নিয়ে কারোই কোনো সন্দেহ নেই।

সম্প্রতি ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ম্যাগাজিন ক্রিকেট মান্থলির মুখোমুখি হয়েছিলেন এই প্রোটিয়া ক্রিকেটার। সেখানে কথা বলেছেন তাকে নিয়ে হওয়া বিভিন্ন সময়ের সমালোচনা নিয়ে। ওই সাক্ষাৎকারের এক ফাঁকে ডি কক জানান, হাইস্কুল পেরোতে না পারলেও ক্রিকেটে মাস্টার্স ডিগ্রি আছে তার।

দক্ষিণ আফ্রিকার নর্দার্ন জোহেন্সবার্গের কিং এডওয়ার্ড (সপ্তম) স্কুলে পড়ালেখা শুরু করেছিলেন ডি কক; যেখানে অধ্যয়ন করেছেন গ্রায়েম স্মিথ-নিল ম্যাকেঞ্জির মতো তারকা ক্রিকেটাররা। তবে এই স্কুল থেকে পড়াশোনার পাট চুকানো হয়নি তার। কেননা ডি ককের মনোযোগ ছিল ক্রিকেটেই। তাই তো শিক্ষক-ছাত্রদের মেলবন্ধন থেকে ছিটকে গিয়ে ২২ গজের লড়াইয়ে নেমে পড়েন তিনি।

এ নিয়ে ডি ককের ভাষ্য, ‘আমার সঙ্গে বইয়ের সম্পর্ক কখনোই ভালো ছিল না। আমি আজ যেখানে, সেখানে কোনো স্কুল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই। ড্রেসিং রুমে এ নিয়ে প্রায় সময়ই হাসাহাসি হয় যে, আমার কোনো স্কুল ডিগ্রি নেই। তবে আমার স্কুল ডিগ্রি না থাকলেও ক্রিকেটে মাস্টার্স ডিগ্রি রয়েছে।’

কুইন্টন ডি কক। ছবি: সংগৃহীত

‘২০০৯ সালে ফ্র্যাঞ্চাইজি হাইভেল্ড স্ট্রাইকার্সের কোচ গ্র্যান্ট মরগ্যান পেশাদার ক্রিকেটে সুযোগ দিতে চান। তখন আমি  বলেছিলাম, যদি আমাকে স্কুল থেকে বের করে আনতে পারেন তাহলে আমি খেলব।’ ফলাফলস্বরূপপ ১৭ বছর বয়সেই দক্ষিণ আফ্রিকার পেশাদার ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ডি ককের। প্রথম ম্যাচে অবশ্য দুই ইনিংসে ৯ ও ৬ রানেই সাজঘরে ফেরেন ডি কক। তবে পরের চার ম্যাচে ৬৫ গড়ে সর্বোচ্চ ১৫২ রান করেন তিনি।

ডি কক বলেন, ‘তখন দীর্ঘ এক আলোচনা হয়েছিল আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে। অবশ্য আমি সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে ফেলেছিলাম। ১৭ বছর বয়সে লোভনীয় এক প্রস্তাবই পেয়েছিলাম আমি। আমার বাবা-মা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে এবং তারা আমাকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নেয়। এ নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র আফসোস নেই। কারণ সময় এখন আমার পক্ষেই।’

পেশাদার ক্রিকেটে অভাবনীয় সাফল্যে ২০১২ সালেই জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে ডি ককের। ২০১২ সালে প্রোটিয়াদের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর ২০১৩ সালে ওয়ানডে ও ২০১৪ সালে টেস্ট অভিষেক হয় তার। তিন ফরম্যাটেই খেলছেন নিয়মিত ও দলের অটোমেটিক চয়েজ হয়েই। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এখন পর্যন্ত ৪ টি টেস্ট, ১০৬টি ওয়ানডে ও ৩৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এই বাঁহাতি ক্রিকেটার।

প্রিয় খেলা/আজাদ চৌধুরী