জয়িতা সম্মাননা পেয়েছেন নাসরীন সুলতানা
আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৫৮
(প্রিয়.কম) শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসরীন সুলতানা।
১৮ ফেব্রুয়ারি, সোমবার বিকেলে জেলা শহরের মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে নাসরীন সুলতানার হাতে পুরস্কারের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবেই জয়িতা পুরস্কার পেলেন নাসরীন সুলতানা। যদিও গত ৯ ডিসেম্বর, বেগম রোকেয়া দিবসে এ পুরস্কারটি গ্রহণ করার কথা ছিল তার। অনিবার্য কারণে সেদিন তিনি পুরস্কারটি গ্রহণ করতে পারেননি।
পুরস্কার গ্রহণের পর নাসরীন সুলতানা বলেন, ‘নারী জীবনের চ্যালেঞ্জের শেষ নেই। একজন নারীর জন্য এ সমাজে নিজের পড়াশোনা, কর্মক্ষেত্র ম্যানেজ করা, সন্তান মানুষ করা, লেখালেখি ইত্যাদির সবই চ্যালেঞ্জিং। আমি সব সময়ই চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি। সামনে এগিয়ে যাচ্ছি, আমার মূল লক্ষ্য জয়ের পথে। আমি চাই দেশের প্রতিটি নারীই জয়ের প্রতীক হয়ে উঠুক।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক নাসরীন সুলতানা সিংগাইর পৌরসভার আজিমপুর গ্রামের প্রয়াত এ কে এম নূরুল ইসলাম ও মনোয়ারা বেগমের প্রথম সন্তান। তিনি পঞ্চম শ্রেণি এবং অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃ্ত্তি, এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলা পর্যায়ে একমাত্র ফিমেল স্টুডেন্ট হিসেবে স্টার মার্কসসহ প্রথম বিভাগ এবং এইচএসসি পরীক্ষাতেও প্রথম বিভাগ অর্জন করেন।
পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ভর্তি হন এবং স্নাতকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম স্থান এবং স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে একই বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এরই মধ্যে তিনি বৃত্তি নিয়ে শিক্ষা ছুটিতে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব আলবাট্রা থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও সম্পন্ন করেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি নাসরীন সুলতানা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালে নিয়মিত লেখালেখি করছেন। সম্পৃক্ত আছেন বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে। তিনি তার বাবার নামে সিংগাইর উপজেলার আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু করেছেন এ কে এম নূরুল ইসলাম স্মৃতি বৃত্তি।
ব্যক্তি জীবনে তিনি এক কন্যা সন্তানের জননী।
প্রিয় সংবাদ/কামরুল