কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লুনার ভিআর প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করে ‘টিম অলিক’। ছবি: সংগৃহীত

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ জয়ী টিম অলিকের লুনার ভিআরের কাজ কী

রাকিবুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২৯
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২৯

(প্রিয়.কম) প্রথমবারের মতো এক হাজার ৩৯৫টি দলকে হারিয়ে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

বেস্ট ইউজ অব ডাটা ক্যাটাগরিতে শীর্ষ চারে স্থান করে নেওয়া ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর আর জাপানের দলকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেটের ‘টিম অলিক’। এই দলটি লুনার ভিআর প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করেছে।

জানা গেছে, এই প্রকল্পটি মূলত একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ্লিকেশন। এটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা চাঁদে ভ্রমণের একটি অভিজ্ঞতা পাবেন।

দলটির সদস্যরা নাসা প্রদত্ত বিভিন্ন রিসোর্স থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করে। নাসা অ্যাপোলো-১১ মিশনের ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমণ, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আবর্তন করা এই তিনটি ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চুয়ালভাবে তৈরি করেছে।

অ্যাপ্লিকেশনটির ব্যবহারকারী, ‘লুনা’ নামের একজন ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের সহায়তায় কাজ করে থাকে। ওই ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টির মাধ্যমে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে চলাফেরা এবং প্রতিক্রিয়া করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। স্বল্প খরচে সকল পরিসরে মহাজাগতিক এক্সপ্লোরেশনের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করাই ছিল প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য।

টিম অলিকের দলনেতা আবু সাবিক মাহদি বলেন, ‘প্রথমবারের নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমি আমাদের মডারেটর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী এবং বেসিসের প্রতি কৃতজ্ঞ। এখন বাংলাদেশের সবার আমাদের প্রতি অনেক প্রত্যাশা। আমরা বাংলাদেশকে আরও উঁচুতে আসীন করতে চাই।

জানা গেছে, ছয়টি ক্যাটাগরির ছয়টি চ্যাম্পিয়ন দল নাসায় যাওয়ার এবং শিক্ষানবিশ হিসেবে কিছুদিন কাজ করার সুযোগ পাবে।

টিম অলিককে অভিনন্দন জানান মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি: সংগৃহীত

টিম অলিককে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের অভিনন্দন

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮তে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মিত হচ্ছে আমাদের তরুণদের হাত ধরে। তরুণদের নিয়ে গড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল টিম অলিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করেছে। বাংলাদেশে বেসিস, বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের মাধ্যমে এ আয়োজন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি টিম অলিক এবং বেসিসকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার আরেকটি অনন্য দৃষ্টান্ত।’

এ অর্জন সম্পর্কে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ‘এ বছর আমাদের লক্ষ্যই ছিল গত তিন আসরের তুলনায় ভালো করার। প্রথমবারের মতো নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। আমরা বেসিস থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে যাত্রা অব্যাহত রেখেছি, এ অর্জন আমাদের প্রচেষ্টার পথে আরেকটি বড় মাইলফলক। আমি বাংলাদেশের নাম বিশ্ব দরবারে আরও উঁচুতে আসীন করার জন্যে ‘টিম অলিক’কে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ এর আহ্বায়ক দিদারুল আলম বলেন, ‘আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এ অর্জন গোটা বাংলাদেশের। টিম অলিক বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। অক্লান্ত এ পরিশ্রমের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ করে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু, প্রধান বিচারক (বাংলাদেশ) মাহদী-উজ-জামান এবং প্রকল্প সমন্বয়ক মো. ওয়াসেক সাজ্জাদকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, বেসিস স্টুডেন্ট ফোরামের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এবার দুই হাজার প্রকল্প থেকে বাছাই করে সেরা ৪০টি প্রকল্প নাসার জন্যে মনোনীত করা হয়।

প্রিয় প্রযুক্তি/আশরাফ