কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গ্রামীণফোনের কার্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

গ্রামীণফোনকে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:০৮
আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:০৮

(প্রিয়.কম) মার্কেটে গ্রামীণফোনের একচ্ছত্র আধিপত্য ভাঙতে অপারেটরটিকে সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) বা মার্কেট লিডার হিসেবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

১০ ফেব্রুয়ারি, রবিবার ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রামীণফোনকে মার্কেট লিডার হিসেবে ঘোষণা করে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে অপারেটরটির কাছে। একই সঙ্গে ওই চিঠির কপি অন্যান্য অপারেটরের কাছেও পাঠানো হয়।

মোট গ্রাহক এবং বাৎসরিক আয় ক্যাটাগরিতে তাদের এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

এসএমপির বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশন সৈয়দ তালাত কামাল প্রিয়.কমকে বলেন, ‘এসএমপি রেগুলেশনের ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন আর্ন্তজাতিক ও টেলিযোগাযোগ খাতের সর্বোচ্চ মানসম্মত নিয়মগুলো বিবেচিত হবে বলে প্রত্যাশা করে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়ন এবং প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার মাধ্যমে সবার জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।’

২০১৮ সালের ডিসেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, দেশের সবগুলো অপারেটরের মোট গ্রাহকের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৩৩ শতাংশই গ্রামীণফোনের। অর্থাৎ মার্কেট শেয়ারে তারা প্রথম স্থান দখল করে রেখেছে। এ ছাড়া আয়ের দিক থেকেও কয়েক বছর ধরে এগিয়ে রয়েছে এই টেলিকম অপারেটরটি।

অপরদিকে ২৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ নিয়ে মার্কেট শেয়ারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রবি। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে বাংলালিংক ও টেলিটক।

উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে এসএমপি নীতিমালার অনুমোদন দেয় সরকার। ওই মাসেই এটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। এতে বলা হয়, বাজারে মোবাইল অপারেটরগুলোসহ এ খাতে লাইসেন্সধারী কোনো কোম্পানিকে এসএমপি ঘোষণার আগে তার গ্রাহক, রাজস্ব ও স্পেকট্রামসহ অন্যান্য সম্পদের বিষয় বিবেচনা করা হবে।

কোনো কোম্পানি যদি এর যেকোনো একটি মানদণ্ডে মোট বাজারের ৪০ শতাংশ দখল বা নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে ওই কোম্পানি এসএমপি হিসেবে বিবেচিত হবে। কোনো কাজে বাজারে প্রতিযোগিতা কমিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তা শুরু করার আগে বিটিআরসির অনুমতি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ, ভোক্তাদের সুনির্দিষ্ট কল্যাণ, অন্য প্রতিযোগীর অধিকার ক্ষুণ্ন না করা ও সরকারি নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতি দেখে অনুমতির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

এসএমপি হিসেবে চিহ্নিত কোম্পানিকে পরবর্তী করণীয় ও বর্জনীয় নিয়ে নির্দেশনা দেবে বিটিআরসি।

প্রিয় প্রযুক্তি/রিমন