কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রেমিক বা প্রেমিকাকে কী উপহার দেবেন তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন? ছবি: সংগৃহীত

ভালোবাসা দিবসে ভুল উপহার দিচ্ছেন না তো?

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৭
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৭

(প্রিয়.কম) ভালোবাসা দিবস আসতে আর মাত্র চার দিন বাকি। এ সময়ে অনেকেই ডেটিং নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছেন। অনেকেই প্রেমিক বা প্রেমিকাকে কী উপহার দেবেন তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। মনে হতেই পারে টাকা জমিয়ে সুন্দর, দামি একটা উপহার দিতেই হবে। আসলে কিন্তু তা নয়। অনেক কম দামি উপহারে আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা খুশি হয়ে যেতে পারেন, আবার ভুল উপহারে সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে। তাই ভালোবাসা দিবসে উপহার দেওয়ার বিষয়ে সাবধান থাকুন। বিশেষ করে এই উপহারগুলো দেবেন কি না সে বিষয়ে দ্বিতীয়বার ভেবে নিন—

১) প্রসাধনী

প্রেমিকা মেকআপ করতে পছন্দ করেন, এ চিন্তা করে অনেক পুরুষই দামি কোনো মেকআপ কিনে দিতে চান তাকে। কিন্তু তা ভুলেও করতে যাবেন না। দেখা যাবে আপনি বেমালুম ভেজাল পণ্য কিনে বসেছেন, যা ব্যবহার করে তার ত্বকে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিনলেন এমন ব্র্যান্ডের জিনিস, যা তিনি ব্যবহার করেন না, যা ব্যবহারে তার ত্বকে সমস্যা হয়, অথবা ওই পণ্যটি তার ত্বকের সাথে যায় না একেবারেই। লিপস্টিক বা নেইলপলিশের মতো নিরীহ কিছু কিনতে গেলেও দেখা যাবে, ওই শেডটা হয়তো তার আগে থেকেই আছে।  তাই প্রসাধনী কিনে সারপ্রাইজ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। বরং বাজেট ভালো থাকলে তাকে কেনাকাটা করতে নিয়ে যেতে পারেন। নারীদের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। প্রেমিকের জন্য হেয়ারজেল, শেভিং কিট বা এ ধরনের পণ্য নিজে থেকে কিনবেন না, বরং তাকে নিয়েই কেনাকাটা করুন। তাহলে তিনি নিজের পছন্দের জিনিসটা বেছে নিতে পারবেন।

২) খুব দামি গিফট

অতিরিক্ত দাম হওয়ার জন্য পরিচিত কোনো উপহার, যেমন দামি স্মার্টফোন, ঘড়ি বা দামি ব্যাগ—এগুলো কেনা আসলে অদরকারি। এই গিফট দেওয়ার মানে ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ না। এর মানে হলো ‘আমি তোমার জন্য অনেক টাকা খরচ করেছি’। দামি গিফট না দিয়ে বরং তার ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই একটি উপহার দিন।

৩) হলুদ গোলাপ

ভাবছেন, লাল গোলাপ তো সবাই দেয়, আমি না হয় হলুদ গোলাপ দিলাম। ভুলেও এ কাজটি করবেন না। হলুদ গোলাপ হলো বন্ধুত্বের প্রতীক। এই গোলাপ দেখে আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা মনে করতে পারেন আপনি আসলে তার সাথে প্রেম করতে চান না, বরং আপনি বন্ধু হিসেবেই থাকতে চান।

৪) মজাদার গিফট

রসিক ধাঁচের মানুষ অনেক সময়ই অদ্ভুত সব গিফট দেন। যেমন চুইংগামের প্যাকেটের ভেতরে থাকা পোকা, নকল লটারির টিকেট, বক্সের ভেতরে থাকা কঙ্কাল ইত্যাদি। এগুলো দেখে আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা একচোট হেসে নিলেও এটা ধরে নিতে পারেন যে আপনি সম্পর্কটা নিয়ে আসলে সিরিয়াস নন। সেটাও আপনার কাছে হাসি-ঠাট্টা করারই একটি বিষয়।

৫) উপদেশমূলক বই

আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, পড়াশোনায় আরো ভালো হতে চাচ্ছেন বা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে একটি বই কিনে তাকে দেওয়াটা তার জন্য উপকারী হবে বলেই আপনি মনে করতে পারেন। কিন্তু তা করবেন না। কারণে এ ধরনের সমস্যাগুলো আসলে একজন মানুষের ক্ষতস্থান। ভালোবাসা দিবসে এ ধরনের বই দিলে সেই ক্ষতস্থানে লবণ ঢালা ছাড়া আর কোনো উপকার হবে না।

৬) এক বক্স চকলেট

আপনার প্রিয় মানুষটি হয়তো ওজন কমানোর প্রাণান্ত চেষ্টা করে চলেছেন, আপনি তা জানেনও না। এমন সময়ে এক বক্স চকলেট খুব সুন্দর আর আদুরে একটি উপহার মনে হতে পারে। কিন্তু তা হাতে পেয়েই তার মেজাজ খারাপ হয়ে যেতে পারে। তিনি যদি খাবার রান্না করা পছন্দ করেন, তাহলে রান্নার বই দিতে পারেন।

৭) একটু মনোযোগ

ভালোবাসা দিবসের জন্য গিফট কিনলেন। এরপর তাকে গিফট দিয়েই নিজের ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন বা গিফট তার হাতে পৌঁছে দিয়ে আপনি নিজের কাজে চলে গেলেন। তাতে ওই উপহারের কোনো মূল্যই আর থাকে না। প্রেমিক বা প্রেমিকাকে সময় দিন। তার কথা শুনুন। তার মন ভালো করার চেষ্টা করুন। এটাই সবচেয়ে বড় উপহার।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

প্রিয় লাইফ/আর বি/আজাদ চৌধুরী