কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রতীকী ছবি

করপোরেট সিম নিবন্ধন জালিয়াতিতে ‘মোবাইল অপারেটররা’ জড়িত

রাকিবুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩৪
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩৪

(প্রিয়.কম) ব্যক্তিগত পর্যায়ে সিম নিবন্ধনবিষয়ক জালিয়াতি বা প্রতারণা প্রায় বন্ধ হলেও করপোরেট গ্রাহকদের ক্ষেত্রে এই জালিয়াতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এসব করপোরেট সিম নিবন্ধন জালিয়াতিতে অসাধু রিটেইলার, ডিস্ট্রিবিউটরের পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা সরাসরি জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার করপোরেট মোবাইল গ্রাহক নিবন্ধন সংক্রান্ত এক নির্দেশনায় এমন দাবি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

বিটিআরসি জানিয়েছে, এসব জালিয়াতি সিম বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রমে ব্যবহার হচ্ছে। কালোবাজারে বিভিন্ন নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যুকৃত এসব সিম উচ্চ মূল্যে জঙ্গি, চাঁদাবাজ, অপহরণকারী, সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। কিছু সিম অবৈধ কল টার্মিনেশন করার কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে।

ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ধরনের অযাচিত সিম ব্যবহারকারীদের সঠিকভাবে সনাক্ত করতে পারছে না। এতে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে।

নতুন নির্দেশনায় করপোরেট সিম নিবন্ধের ক্ষেত্রে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১। এখন থেকে কোন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সিম বিক্রির ক্ষেত্রে কমিশনের নির্ধারিত ফরম নং ২০১৯১০০০ প্রতিপালন করতে হবে। উক্ত ফরমে উল্লেখিত ধাপ অনুসরণ করে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি কমিশনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কমিশনে নির্ধারিত কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

২। ফরম নং ২০১৯১০০০ অনুযায়ী জমাকৃত আবেদন কেবলমাত্র কমিশনের অনুমোদনের পরই অনুমোদিত ব্যক্তির বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করা সাপেক্ষে অনুমোদিত সিমসমূহ ইটিএসএএফ নির্দেশনা অনুযায়ী বাল্ক নিবন্ধন করে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর করা হবে।

৩। সকল বিদ্যমান করপোরেট গ্রাহকদের ক্ষেত্রে উপরোল্লিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে সংযুক্ত ২০১৯১০০০ অনুসারে প্রয়োজনীয় তথ্য আগামী তিন মাসের মধ্যে কমিশন বরাবর পর্যায়ক্রমে প্রেরণ করতে হবে। কমিশন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। কোনক্রমেই করপোরেট গ্রাহক যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেটি নিশ্চিতকল্পে কমিশন সদা তৎপর থাকবে।

৪। এখন হতে করপোরেট সিম উত্তোলন, প্রতিস্থাপন, হস্তান্তর এবং নিস্ক্রিয়করণের সকল ক্ষেত্রে অনুমোদিত ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ বাধ্যতামূলক করা হলো।

৫। সঙ্গত কারণে সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা উক্ত নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে।

প্রিয় প্রযুক্তি/কামরুল