কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কারওয়ান বাজার মোড়ের একটি চিত্র। ছবি সংগৃহীত

কিছুতেই শৃঙ্খলা ফিরছে না সড়কে

মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:০২
আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:০২

(প্রিয়.কম) ট্রাফিক সপ্তাহ, সচেতনতা মাস কিংবা শৃঙ্খলাপক্ষ, কিছুতেই শৃঙ্খলা ফিরছে না সড়কে। মামলা আর জরিমানাই সার। গণপরিবহনে যাত্রী ওঠানামার নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে দিলেও, সেখানে থামে না কোনো গাড়ি। নির্দিষ্ট জায়গায় গণপরিবহন থামানো নিয়ে হতাশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর পাল্টাপাল্টি দোষারোপ যাত্রী ও চালকদের।

রাজধানীর মালিবাগ টু সায়েদাবাদ বিশ্বরোডের বাসাবো এলাকা। বোর্ড লাগিয়ে, যাত্রী ছাউনি বানিয়ে, হলুদ রঙে নির্দিষ্ট করা আছে বাস থামানোর জায়গা। আধাঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করে, সেখানে দেখা মিললো মাত্র একটি বাসের।

যানজট কমাতে প্রশাসনের এ উদ্যোগ কেন মানছে না গণপরিবহনগুলো? এমন প্রশ্নে পরস্পরবিরোধী উত্তর যাত্রী ও বাস চালক-হেলপারদের। কিন্তু ওই এলাকায় এক ঘণ্টায়ও দেখা মেলেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যের। এ সময় তানভীর নামে একজন যাত্রী বলেন, ‘বাস যেখানে দাঁড়াবে যাত্রীরা যাওয়ার জন্য সেখানেই দৌড়াবে।’

অন্যদিকে বাসচালক মোবারক বলেন, ‘আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করি নিদিষ্ট স্টপিজে থামতে। কিন্তু কিছু কিছু যাত্রী আছে যারা তার নির্দিষ্ট জায়গায় নামিয়ে দিতে বলে সে ক্ষেত্রে অনেক সময় বাসের জন্য নির্ধারিত স্থানের আগে পরেও বাস থামাতে হয়। নতুবা অনেক সময় বাবা মা তুলে গালিগালাজও করে থাকেন কিছু সংখ্যক যাত্রী।’

গত ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ট্রাফিকপক্ষের কেটে গেছে বেশিরভাগ দিনই। জরিমানার অঙ্ক আর মামলার সংখ্যা হিসাবে অনেক। নিয়মভঙ্গের অভিযোগে এরই মধ্যে নগরবাসীকে গুনতে হয়েছে আড়াই কোটি টাকার মাশুল। মামলা ছাড়িয়েছে অর্ধলাখের ঘর। যার বড় অংশই বাস/মিনিবাস ও মোটরসাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, ১৪ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে জরিমানা গুনতে হয়েছে দুই কোটি ৩৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, মামলা হয়েছে ৪৬ হাজার, তার মধ্যে উল্টোপথের মামলা আট হাজার ২০৯টি, মোটরসাইকেল মামলা ২১ হাজার আটটি, গাড়িতে ফোন ব্যবহার মামলা ১৩০টি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল করিম বলেন, ‘বাসগুলোর মধ্যে যে প্রবণতা এবং যাত্রীদের মধ্যে যে প্রবণতা তা হলো নির্দিষ্ট স্থানে না গিয়ে তার সুবিধামত দাঁড়িয়ে যাওয়া। অর্থ্যাৎ কষ্ট করতে কেউ চায় না। এর পেছনে মূলত কাজ করছে যাদের জন্য রাস্তা নিরাপদ রাখার চেষ্টা, তাদের আন্তরিকতার অভাবেই ভেস্তে যাচ্ছে সব উদ্যোগ।’

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘রাজস্ব আদায় করা ট্রাফিক পুলিশের কাজ নয়। যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে, মামলা দেওয়া হচ্ছে, জরিমানা আদায় করা হচ্ছে তাতে করে রাজস্বের পরিমাণ হয়তো বাড়বে। কিন্তু গণপরিবহনের বিশৃঙ্খলা কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হবে না। সেজন্য সবাইকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জানানো এবং ট্রাফিক আইন মানানো অত্যন্ত জরুরি।’

প্রিয় সংবাদ/রুহুল