বামে উবার চালক শাহনাজ এবং ডানে বাইক চুরি করা ব্যক্তি জনি। ছবি: সংগৃহীত
মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ১২ ঘণ্টায় ধরা পড়ল বাইক চোর
আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:২০
(প্রিয়.কম) উবারে বাইক চালিয়ে দুই সন্তানসহ জীবিকা নির্বাহ করা নারী শাহনাজের চুরি হওয়া স্কুটি মোটরবাইকটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের জোরালো তৎপরতার কারণে মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানেই বাইকটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
১৫ জানুয়ারি, মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে খামারবাড়ি মোড় এলাকা থেকে শাহনাজের বাইকটি কৌশলে নিয়ে পালিয়ে যায় জনি নামের এক ব্যক্তি। আর বাইক উদ্ধারের পর পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বাইকসহ জনিকে আটক করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টার ব্যবধানেই বাইকটি উদ্ধার করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুলিশের প্রশংসা করছেন অনেকে।
পুলিশ জানায়, প্রতারণাকারীর মোবাইলফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে লোকেশন নিশ্চিত হয়ে প্রথমে বাইক নিয়ে যাওয়া জনিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর উদ্ধার করা হয় শাহনাজের স্কুটি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে স্কুটিটি উদ্ধার করেছি এবং জনিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এ মামলার তদন্ত ও অভিযানের সমন্বয় করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী কমিশনার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন। বাইক উদ্ধারের জন্য রাতেই আরিফের নেতৃত্বে একটি চৌকষ দল অভিযানে নেমেছিল। প্রথমে ভুক্তভোগী শাহনাজের কাছে থেকে প্রতারক জনির মোবাইল নম্বর নিয়ে তাতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে সেটি বন্ধ পাওয়া গেলেও কললিস্টের অন্য মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে জনির সর্বশেষ লোকেশন জানা যায় নারায়ণগঞ্জে।’
বিপ্লব কুমার বলতে থাকেন, ‘এরপর রাতেই আমাদের একটি টিম সেখানে চলে যায়। সেখানে পৌঁছে সর্বশেষ লোকেশন চিহ্নিত করে রাত ৩টার দিকে জনিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয় ভুক্তভোগী শাহনাজের স্কুটি।’
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তায় আমরা প্রতারক জনির লোকেশন নিশ্চিত হয়ে নারায়ণগঞ্জে অভিযানে যাই। সেখান থেকেই জনিসহ স্কুটিটি উদ্ধার করা হয়।’
প্রিয় সংবাদ/রিমন