কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বমি ভাব কমাতে খাওয়া যায় আদা বা পান করা যায় আদা চা। ছবি: সংগৃহীত

মস্তিষ্কের ওপর অদ্ভুত প্রভাব রাখতে পারে আদা

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:১৪
আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:১৪

(প্রিয়.কম) আপনি ভাবতে পারেন আপনি একজন ভালো মানুষ। আপনি সবসময় ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেন। অস্বাভাবিক, উদ্ভট কোনো সিদ্ধান্ত নেন না। বিজ্ঞান কিন্তু অন্য কথা বলছে।  আমাদের আবেগ, শারীরিক স্বাস্থ্য, অভ্যাস এমনকি খাবারও আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।  ফলে আমরা এমন সব সিদ্ধান্ত নেই যা আসলে স্বাভাবিক নয় মোটেই।

কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার গবেষকরা দেখেন, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী মানুষদের আদা খাওয়ানো হলে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অস্বাভাবিকভাবে প্রভাবিত হয়।  আমরা সাধারণত যেসব কাজ করতে অস্বস্তি বোধ করি, আদা খাওয়ার পর সেসব কাজ করতেই আপত্তি অনেকটা কমে যায়। এমনকি তাদের ঘৃণার অনুভুতিও কমে। গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয় পার্সোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল ফিজিওলজি জার্নালে।

সবাইকে একটি জিনজার ক্যাপসুল বা একটি সুগার পিল দেওয়া হয়।  প্রথম গবেষণাটি করা হয় ২৪২ জনের ওপর। তাদেরকে কিছু জঘন্য ছবি দেখানো হয়, যেমন পচা মাংসের ছবি থেকে শুরু করে কেউ টয়লেটে বমি করছে এমন ছবি। এরপর তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হয় প্রতিটি ছবি দেখে তাদের কতটা ঘৃণা হয়েছিল।

দ্বিতীয় গবেষণাটি করা হয় ৩০৬ জনের ওপর।  এতে তাদেরকে কিছু কাজের নমুনা দেওয়া হয়, যেমন দূর সম্পর্কের ভাই-বোনের মাঝে বিয়ে হওয়া, বা মর্গে থাকা লাশের চোখে স্পর্শ করা। এসব কাজে তাদের কতটা অস্বস্তি বা ঘৃণা হয় তার তথ্য নেওয়া হয়।

তৃতীয় গবেষণাটি দ্বিতিয়টির মতোই ছিল, তাতে ৪৯৭ জন মানুষ অংশগ্রহণ করা হয়।  চতুর্থ গবেষণায় ৫০৪ জন মানুষ ছিলেন। তাদের কিছু কিছু কাজের নমুনা দেওয়া হয় ও তা ঠিক কি বেঠিক, তার বিচার করতে বলা হয়। এমন কাজে মধ্যে ছিল, সহপাঠিকে অকারণে চড় মারা, পরীক্ষায় নকল করা, বাবা-মায়ের সাথে ঝগড়া হয়েছিল বলে তাদের শেষকৃত্যে না যাওয়া ইত্যাদি।

গবেষণায় দেখা যায়, যারা আদা দেওয়া ওষুধ খেয়েছিলেন তাদের ঘৃণার তীব্রতা কম হয় ও অনৈতিক কাজের জন্য অন্যকে তারা বিচারও করেন কম।  তবে খুব বেশি অনৈতিক ও ঘৃণ্য কাজের প্রতি সবার অনুভূতি একই হয়।  গবেষকরা ধারণা করেন, যেহেতু আদা খেলে বা আদা চা পান করলে বমি বমি ভাব কম হয়, একইভাবে ঘৃণার অনুভূতিটাও কমে আসে।  মূলত আমাদের পেটে বমির অনুভূতি না থাকলে ঘৃণা কম দেখা যায়। কিন্তু সামাজিকভাবে যেসব জিনিসকে আমরা বরাবরই ঘৃণা করে এসেছি, তার ওপর আদার কোনো প্রভাব দেখা যায় না।

সূত্র: আইএফএলসায়েন্স

প্রিয় বিজ্ঞান। আর বি