কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আইফোন টেনএস ম্যাক্স ফোনে আগুন ধরে যায়। ছবি: সংগৃহীত

পকেটের মধ্যে নতুন আইফোন টেনএস ম্যাক্স ফোনে আগুন

ফারজানা মাহাবুবা
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:৩৯
আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:৩৯

(প্রিয়.কম) মাত্র তিন সপ্তাহ আগে নতুন আইফোন টেনএস ম্যাক্স কিনেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিওর এক ব্যক্তি। সম্প্রতি এই ব্যক্তির পকেটের মধ্যেই নতুন ফোনে আগুন ধরে গেছে। এই বিষয়ে অ্যাপলের সাথে যোগাযোগ করলে অ্যাপলের রিপ্লেস প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন এবং আইনি পথে হাঁটার কথা ভাবছেন তিনি।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে উন্মুক্ত হয়েছিল এই বছরের তিনটি নতুন আইফোন। উন্মুক্তের পরে এই প্রথম আইফোন টেনএস, আইফোন টেনএস ম্যাক্স আর আইফোন টেনআর—এই তিন মডেলের মধ্যে আগুন ধরার ঘটনা সামনে এলো।

সম্প্রতি আইড্রপনিউজে প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, জে হিলার্ড নামে এক ব্যক্তির আইফোন টেনএস ম্যাক্সে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ১২ ডিসেম্বর লাঞ্চ ব্রেকের সময় পকেটের মধ্যে ফোনে উষ্ণতা অনুভব করেন হিলার্ড। আর সঙ্গে সঙ্গেই ত্বকে কিছু পোড়ার অনুভূতি হতে শুরু করে। এর পরেই পকেটে থাকা নতুন এই আইফোন থেকে সবুজ ও হলুদ রঙের ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। এর পরে এক সহকর্মী অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। এর পরে হিলার্ডের প্যান্টে ফুটো হয়ে যায় ও ত্বকে জ্বালা করতে শুরু করে।

হিলার্ড বলেন, ‘পকেটে ফোনে আগুন ধরে গেছে বোঝার পরে পকেট থেকে ফোনটি বের করে টেবিলে রাখার সময় আমি অনেকটা ধোঁয়া টেনে নিয়েছিলাম। পরে অফিসের সিকিউরিটি ক্যামেরায় সেই ভিডিও দেখা গেছে।’

একই দিনে অফিস শেষে অ্যাপেল স্টোরে গিয়ে এই দুর্ঘটনার কথা জানান তিনি। অ্যাপেল স্টোর থেকে জানানো হয়, পুড়ে যাওয়া আইফোন কুপার্টিনোতে কোম্পানির সদর দফতরে পাঠানো হবে। সঠিক তদন্তের পরেই তিনি নতুন আইফোন টেনএস ম্যাক্স পাবেন বলে জানায় অ্যাপেল স্টোর। এ ছাড়াও অ্যাপেল স্টোর তাকে জামা-কাপড়, জুতো ও ত্বকের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করেছে।

এদিকে হিলার্ড শুধু নতুন আইফোন টেনএস ম্যাক্স হাতে নিয়ে থেকে থাকতে চান না। এই দুর্ঘটনার সঠিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তিনি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি অ্যাপল।

প্রিয় প্রযুক্তি/আজাদ চৌধুরী