কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিগ বাজেটের এই সিনেমার কিছু ভালো দিক হলো ভিএফএক্স আর গান। ছবি:সংগৃহীত

জিরো: কিং খানের আরেকটি হতাশা

মাশরিক ফাইয়াজ
শখের লেখক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৩৮
আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৩৮

(প্রিয়.কম) শাহরুখ খান আর আনুশকা শর্মার দুর্ভাগ্য হচ্ছে এই দুইজন নামি সব পরিচালকের সবচেয়ে বাজে কাজগুলোর অংশ হচ্ছেন। জাব তাক হ্যা জান, জাব হ্যারি মেট সেজালের পর সবশেষে জিরো। আকাশচুম্বী আগ্রহ আর প্রত্যাশার এমন করুণ পরিণতি হয়তো আর কারও ভাগ্যে জোটেনি।

এ বছরের শেষে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো আনন্দ এল রাইয়ের জিরো। সবাই তনু ওয়েডস মনুর দুই সিনেমা , রাঞ্ঝানার পরিচালকের কাছে থেকে আরেকটি মাস্টারপিস আশা করছিলো, যেখানে কাহিনীকার ছিলেন হিমাংশু শর্মা। আর পর্দার সামনে শাহরুখ খান, আনুশকা ও ক্যাটরিনার মতো জনপ্রিয় তারকারা। কিন্তু ২০০ কোটি টাকার জিরো এতো প্রত্যাশার চাপ সামলাতেই পারল না, নামের মতোই এই সিনেমার ফলাফল মিললো এক বিশাল অশ্বডিম্ব।

মিরুটের এক বামন বাউয়া সিংয়ের জীবনযাপন নিয়ে ভালোই এগোচ্ছিল সিনেমার কাহিনী। বিখ্যাত বিজ্ঞানী আফিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠা, এর বিপরীতেই গ্ল্যামার স্টার ববিতার জন্য ফ্যান্টাসি নিয়ে বাউয়া সিংয়ের স্বপ্নিল জীবন  বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠছিল। প্রথমার্ধে যে গতিতে জিরো চলছিল, সেভাবে চললে বলিউডের অন্যতম সেরা রোম্যান্টিক-ড্রামা হিসেবে জিরো নাম লেখাতে পারতো। কিন্তু ঝামেলাটা হয়ে গেলো শেষ ৪০ মিনিটে। প্রেম, হাস্যরস, নাটকীয়তার মাঝে বিজ্ঞানের প্রবেশ ঘটাতে গিয়ে হিমাংশু শর্মা পুরো গোলমাল বাঁধিয়ে ফেললেন। একপর্যায়ে গিয়ে মনে হলো ইন্টারভেলের পর সম্পূর্ণ আলাদা সিনেমা দেখতে বসেছি। অনিয়মিত কাহিনী আর দৃশ্য বিরক্ত ধরিয়ে দিলো। একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী গল্প তৈরি করতে গিয়ে হিমাংশু- আনন্দ জুটি পুরো গল্পকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিলেন যেন। সাথে যোগ হলো দৈহিক প্রতিবন্ধীর ভূমিকায় আনুশকার বিরক্তিকর অভিনয়। এতকিছুর ভিড়েই খান আর কাইফের ভালো অভিনয় বাতাসে মিলিয়ে গেল।

বিগ বাজেটের এই সিনেমার কিছু ভালো দিক হলো ভিএফএক্স আর গান। একমাত্র রোম্যান্টিক গান মেরা নাম তুয়ের দৃশ্যায়ন ছিল অপূর্ব। এর সাথে কিং খান আর সহ-অভিনেত্রী হিসেবে ক্যাটরিনার অভিনয় চেষ্টা করেছিল জিরোকে পাস নম্বর দিতে। কিন্তু আনন্দ এল রাই হতাশ করলেন। এই সিনেমার পরিচালক উনি না হলে হয়তো সিনেমাটি উতরে যেত, কিন্তু নিজের নামের সুবিচার করতে নিজেই ব্যর্থ হলেন যেন তিনি। সাদামাটা প্রেমের মাঝে হাত দিয়ে তারা খসিয়ে দেওয়া, প্রেমের জন্য মহাকাশে উড়তে রাজি হয়ে যাওয়া; এসবকিছুই কৌতুকসর্বস্ব মনে হয়েছে।

পরিচালক আনন্দ এল রাই হয়তো কিং খানের ভরসায় জিরো দিয়ে ব্লকবাস্টার ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন পোক্ত কাহিনী ছাড়া সিনামে টেকে না, সেটি হয়তো তিনি ভুলে গিয়েছেন। সে কারণেই অন্যধর্মী কাজে মরিয়া হয়ে যাওয়া শাহরুখ খানের ভাণ্ডারে আরেকটি হতাশা যুক্ত হলো।

প্রিয় বিনোদন/রুহুল