কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শাকিরা ইসাবেল। ছবি: সংগৃহীত

শাকিরার বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ

তাশফিন ত্রপা
ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:১৩
আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:১৩

(প্রিয়.কম) জনপ্রিয় কলম্বিয়ান সংগীতশিল্পী শাকিরা ইসাবেল। নব্বই দশকের শুরু থেকে সারা বিশ্বব্যাপী তিনি যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তা যেন দিন-দিন বেড়েই চলেছে। তার আকর্ষণীয় গান ও নাচে মুগ্ধ হয়েছেন পৃথিবীর আনাচে কানাচে থাকা মানুষ।

স্পেনীয় ফুটবল খেলোয়াড় জেরার্ড পিকের সঙ্গে টানা আট বছর ধরে প্রেম করছেন ‘হিপস ডোন্ট লাই’ খ্যাত এ পপ তারকা। এ তারকা জুটির দুটি সন্তানও আছে। বড় ছেলে মিলান, ছোট ছেলে সাশা ও প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে বেশিরভাগ সময় স্পেনেই বসবাস করতেন তিনি।

দ্য গার্ডিয়েনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এবার স্পেন সরকার শাকিরার বিরুদ্ধে ১ শত ১৭ কোটি টাকার ( ১৪.৫ মিলিয়ন ইউরো) কর ফাঁকির আইনি অভিযোগ তুলেছে। দেশটির সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত স্পেনের বার্সেলোনায় বসবাস করেছেন শাকিরা। মাঝে মধ্যে ভ্রমণের সময়গুলো বাদ দিয়ে, বছরের বেশিরভাগ সময় স্পেনেই বসবাস করতেন এ সংগীতশিল্পী। তাই তিনি স্পেনের বাসিন্দা ছিলেন। স্পেনের বাসিন্দাদের আয়ের ওপর সকারকে কর দেওয়া বাধ্যতামূলক। সুতরাং ওই বছরগুলিতে শাকিরার আয়ের ওপর স্পেন সরকারকে কর দেওয়াও বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু তিনি ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত স্পেন সরকারের আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন।

আইরিশ ইনডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়, শাকিরার প্রতিনিধি জানান, পেশাগত কারণে বিভিন্ন স্থানেই বসবাস করতেন শাকিরা। তাছড়া শাকিরার বিরুদ্ধে যে বছরগুলো তুলে ধরে কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়েছে, অথচ ওই বছরগুলোতে তিনি আইনতভাবে স্পেনের বাসিন্দা ছিলেন না। ওই সময়গুলতে তিনি ছিলেন বাহামা দ্বীপপুঞ্জের নাগরিক।
অন্য দিকে সরকার পক্ষের ওই আইনজীবী জানান, তিনি বাহামোসের নাগরিক হলেও বেশির ভাগ সময়েই প্রেমিকের সঙ্গে স্পেনেই বসবাস করেছেন। ২০১৫ সালে অফিসিয়ালি স্পেনে বসবাস শুরু করেন শাকিরা।

২০১৭ সালে নিউ ইয়র্কের জেএফকে এয়ারপোর্টে শাকিরার সঙ্গে দুই পুত্র এবং প্রেমিক জেরার্ড পিকে। ছবি: সংগৃহীত

শাকিরা ছাড়াও এর আগে অনেক তারকার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ এনেছিলেন স্পেন সরকার। পাঁচ মাস আগে কর ফাঁকির দায়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন স্প্যানিশ আদালত। জরিমানা দিয়েই সেই মামলা থেকে মওকুফ পান তিনি। ২০১৬ সালে স্পেনের কর ফাঁকির এক মামলায় ২১ মাসের জেল হয় মেসির। পরবর্তিতে জরিমানা দিয়ে জেল এড়ান তিনিও।

প্রিয় বিনোদন/গোরা