কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লাখে মাত্র ৫ জনে হার্ট ক্যান্সার হতে পারে।

হৃৎপিণ্ডের ক্যান্সারের নাম কখনো শুনেছেন কী?

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:৩১
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:৩১

(প্রিয়.কম) ফুসফুস, মস্তিষ্ক, স্তন, প্রোস্টেট- মানব শরীরের অনেক অঙ্গেই ক্যান্সার ছড়িয়ে যায়। কিন্তু হার্ট ক্যান্সারের কথা শোনা যায় না সচরাচর। হার্ট ক্যান্সার আসলেই আছে, কিন্ত তা বেশ দুর্লভ।

লাখে মাত্র ৫ জনে হার্ট ক্যান্সার হতে পারে। অন্যদিকে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন গড়ে প্রতি আটজনে একজন নারী। এতেই বোঝা যায় ক্যান্সারটি কতো দুর্লভ।

ক্যান্সার কী করে তৈরি হয় ও ছড়ায় তা বুঝতে হবে প্রথমে। দেহে কোষে বিভাজন ও বৃদ্ধির সময়ে একটি মিউটেশন ঘটতে পারে। এই মিটেশন হওয়া কোষ দ্রুত বিভাজিত হয় ও বাড়ে, এক সময়ে তারা ক্যান্সার টিউমার তৈরি করে। বিভিন্ন অঙ্গে এইভাবে ক্যান্সার হলেও হৃৎপিণ্ডে তা সচরাচর হয় না। কেন?

হৃৎপিণ্ডে বিভিন্ন হৃদরোগ হয়। কিন্তু যে কারণে হৃদরোগ হয়, সেই কারণেই আবার হৃৎপিণ্ডে ক্যান্সার কম হয়। হৃৎপিণ্ডের কোষ বা মায়োসাইটস অন্যান্য দেহকোষের মতো বিভাজিত হয়ে সংখ্যায় বাড়তে পারে না। এ কারণে হৃদরোগে পতিত হলে সহজে হৃৎপিণ্ড সেরে উঠতে পারে না, সময় লাগে অনেক। কিন্তু কোষ বিভাজন হয় না বলেই হৃৎপিণ্ডের কোষে ক্যান্সারের মিউটেশনও হয় না সচরাচর।

শুধু তাই নয়, ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান অন্যান্য অঙ্গে যত সহজে প্রবেশ করে, হৃৎপিণ্ডে তত সহজে প্রবেশ করে না। যেমন সিগারেটের ধোঁয়া ফুসফুসে প্রবেশ করে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। হৃৎপিণ্ডে তেমন কোনো পদার্থ যেতে পারে না সহজে।

হৃৎপিণ্ডে টিউমার দেখা দিলেও বেশিরভাগ সময়ে তা বিনাইন, ক্যান্সার নয়। সাধারণত বিনাইন হলেও এসব টিউমারকে সরিয়ে ফেলতে হয় যাতে তারা রক্ত চলাচলে বাধা না দেয়।

তবে অন্য অঙ্গ থেকে ক্যান্সার হৃৎপিণ্ডে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে ত্বকের ক্যান্সার বা মেলানোমা, লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, লাং ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার বা ইসোফ্যাজিয়াল ক্যান্সার থেকে। এক্ষেত্রে অবশ্য একে হার্ট ক্যান্সার বলা হয় না, বরং মেটাস্ট্যাটিক ক্যান্সার বলা হয়।

খুব দুর্লভ ক্ষেত্রে হার্ট ক্যান্সার হয়। সেক্ষেত্রে উপসর্গগুলো অন্যান্য হৃদরোগের মতই হয়। যেমন বুকে ব্যথা, প্যালপিটেশন ও শ্বাসকষ্ট। ওজন দ্রুত কমে যাওয়া ও ক্লান্তিও দেখা দেয়। হৃৎপিণ্ডের ডানদিকে হওয়া টিউমার ফুসফুসে ছড়িয়ে শ্বাসকষ্ট তৈরি করতে পারে। আবার বামদিকে হওয়া টিউমার স্ট্রোকের কারণ হতে পারে।

সুত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

প্রিয় লাইফ/ আর বি