কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শিশু ছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন এমন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মুখেও এই ইনফেকশন হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

জিহ্বায় ইস্ট ইনফেকশন হলে কী করবেন?

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:৪৯
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:৪৯

(প্রিয়.কম) একদমই ছোট শিশুদের মুখের ভেতরে এক ধরণের ইনফেকশন হয়, যাকে ইস্ট ইনফেকশন বা থ্রাশ বলে শনাক্ত করা হয়। এই ইনফেকশনে সাধারণত জিহ্বার ওপরে এক ধরণের সাদা স্তর পড়ে।এতে মুখের ভেতর ব্যথা হয় ও নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। শিশু ছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন এমন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মুখেও এই ইনফেকশন হতে পারে। দেখে নিন তা উপশমের কিছু ঘরোয়া উপায়-

১) প্রোবায়টিকস বা দই

দইয়ে ইস্ট ইনফেকশন কমাতে পারে। কারণ এতে থাকা উপকারি ব্যাকটেরিয়া মুখের ভেতর অন্য জীবাণু দূর করতে সক্ষম।

২) মুখের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া

দাঁত নিয়মিত ব্রাশ করলেই হবে না, এর পাশাপাশি জিহ্বাও ব্রাশ করতে হবে। এর পাশাপাশি মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত। তাহলেই থ্রাশ দূর করা যাবে।

৩) লবণপানি

লবণ বেশ কাজে আসে থ্রাশ দূর করতে। হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে তা দিয়ে কুলকুচি করলে ইস্ট ইনফেকশন দূর করা যায়।

৪) খ্যাদ্যভ্যাসে পরিবর্তন

চিনি খেলে ইস্ট বাড়ে। এ কারণে চিনি খাওয়া কমিয়ে দেওয়া উচিত থ্রাশ হলে। এছাড়া বুকের দুধ পান করছে এমন সন্তানের মুখে ইস্ট ইনফেকশন হলে মায়েরও চিনি খাওয়া কমিয়ে দেওয়া উচিত।

৫) বেকিং সোডা

এক কাপ পানিতে দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে তা দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। এতে মুখের ভেতরে ইস্টের জন্য অপ্রীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়। তবে শিশুদের জন্য এই প্রতিকার ব্যবহার করা যাবে না।

৬) নারকেল তেল ও টি ট্রি অয়েল

এক টুকরো তুলোয় নারিকেল তেল নিয়ে মুখের ভেতরে মুছে নিতে পারেন। তা ব্যাকটেরিয়া দূর করতে কাজে আসে। এছাড়া পানিতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল দিয়ে সেই পানিতে কুলকুচি করা যেতে পারে। টি ট্রি অ্যান্টিসেপ্টিক হওয়ার কারণে তা উপকারি।

৭) অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ

এসব ঘরোয়া প্রতিকারে কাজ না হলে ডাক্তার দেখানো উচিত। সাধারণত অ্যান্টি-ইস্ট ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধে থ্রাশ দূর হয় সহজেই।

সুত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

প্রিয় লাইফ/ আর বি