মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা হতে পারে বুকে, গলায়, ঘাড়ে, পিঠে বা কাঁধে। ছবি: সংগৃহীত
আপনি কি জানেন, নারীর হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো কী?
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:১৬
(প্রিয়.কম) নারীর মৃত্যুর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী যে রোগটি, তা ক্যান্সার নয়, বরং হার্ট অ্যাটাক। কিন্তু নারী ও পুরুষে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ভিন্ন হবার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই নারীর চিকিৎসা পেতে দেরী হয়, ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে বেশি।
ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণা থেকে হার্ট অ্যাটাকে নারীর মৃত্যুর নতুন একটি কারণ দেখা যায়। হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা খুব কম সময়ের মাঝে করতে হয়। যত দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যায়, হৃৎপিণ্ডের পেশী তত বেশি বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয় ও মৃত্যু ঝুঁকি কমানো যায়। এই গবেষণায় ১৬ বছর ধরে ৪,০০০ মানুষের তথ্য নেওয়া হয়। দেখা যায়, হার্ট অ্যাটাকের পর চিকিৎসা পেতে একজন পুরুষের তুলনায় একজন নারীর সময় লাগে প্রায় ৩৭ মিনিট বেশি।
হার্ট অ্যাটাকের পর এর লক্ষণগুলো বুঝতে একজন পুরুষের চেয়ে একজন নারীর সময় লাগে বেশি। ডাক্তাররা (মূলত পুরুষ ডাক্তার) নারীদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ধরতেও অনেক সময় ভুল করেন। কিন্তু নারীরা নিজেরাও ধরতে পারেন না যে তার হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে।
হার্ট অ্যাটাকের সময়ে নারী ও পুরুষ উভয়েই তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। কিন্তু ব্যথার জায়গা হতে পারে আলাদা। পুরুষের সাধারণত বুকে ও বাম হাতে ব্যথা হয়, ফলে তারা সহজে ধরতে পারেন এই ব্যথাটি হার্ট অ্যাটাক। অন্যদিকে নারীর পিঠে, ঘাড়ে বা পেটে ব্যথা হতে পারে।
নারীর হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ যে আলাদা হতে পারে তা নিয়ে সচেতনতা ছড়ানোর লক্ষ্যে এক নার্স টুইট করেন। তিনি জানান, তার পিঠের ওপরের দিকে এবং দুই হাতেই ব্যথা ছিল। ঘাম ও বমি হওয়ার পর তিনি সন্দেহ করেন এটা হার্ট অ্যাটাক। তিনি বুঝতেই পারেননি বিষয়টি এত গুরুতর।
গবেষণার লেখক ম্যাথিয়াস মায়ার জানান, হার্ট অ্যাটাকের পর প্রতিটি সেকেন্ড গুরুত্বপূর্ণ। মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা হতে পারে বুকে, গলায়, ঘাড়ে, পিঠে বা কাঁধে। এই ব্যথা ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে থাকবে। এর পাশাপাশি থাকতে পারে বমি, ঘাম, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট ও ভীতি।
সুত্র: আইএফএলসায়েন্স
প্রিয় লাইফ/ আর বি