কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। ছবি: সংগৃহীত

শিল্প কারখানায় সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা নিশ্চিতের আহ্বান

জানিবুল হক হিরা
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৫৪
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৫৪

(বাসস) পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য সবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে শিল্প কারখানায় সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু

১১ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ‘ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৭’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে নিজ নিজ শিল্প-কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎপাদিত পণ্যে উৎকর্ষতা সাধনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৬টি শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানকে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। শিল্পমন্ত্রী নির্বাচিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।

শিল্পখাতে বিশেষ অবদানের জন্য পঞ্চমবারের মতো এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের জন্য ৬টি ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড। মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে অকো-টেক্স লিমিটেড, বি আর বি পলিমার লিমিটেড, ন্যাসেনিয়া লিমিটেড। ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রিমিয়াম সুইটস বাই সেন্ট্রাল, মেটাটিউড এশিয়া লিমিটেড, আলীম ইন্ডাস্টিজ লিমিটেড। মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে খান বেকেলাইট প্রোডাক্টস, ট্রিম ট্যাক্স বাংলাদেশ। কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে অধরা পার্লার এন্ড স্পা ট্রেনিং সেন্টার, প্রীতি বিউটি পার্লার এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে রেণউইক, যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোং (বিডি) লিমিটেড, করিম জুট মিলস লিমিটেড ও ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্পায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে। সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি ও উদ্যোগের ফলে দেশে শিল্পায়নের ধারা জোরদার হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় আয়ের শিল্পখাতের অবদান ৩৩ দশমিক ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে ২০২১ সালের মধ্যে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলেও জানান তিনি।

আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিন্তানের ব্যাংক, বীমা, শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা পশ্চিম পাকিস্তানি ও বিহারিদের হাতে ছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় আজ বাংলাদেশে বড় বড় শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে।

তিনি শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্ব দেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে শিল্প, সেবা, কৃষিসহ সকলখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আমু বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ খুব শিগগির আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে রপ্তানিমুখী অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে বাস্তবে রূপায়নে সক্ষম হবে।

অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্প উদ্যোক্তারা সরকারের এ স্বীকৃতি প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। এ উদ্যোগ আগামী দিনে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিজ নিজ শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ইতিবাচক অবদান রাখার অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে তারা মন্তব্য করেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এনপিও’র পরিচালক এস. এম. আশরাফুজ্জামান, পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, অকো-টেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সোবহান, প্রিমিয়াম সুইটস বাই সেন্ট্রালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ. এম. ইকবাল, আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলীমুস সাদাত চৌধুরী, ট্রিম ট্যাক্স বাংলাদেশের স্বত্ত্বাধিকারী সাহিদা পারভীন এবং করিম জুট মিলস লিমিটেডের প্রকল্প প্রধান আবু সায়েদ মো. মামুন-উর-রহমান বক্তব্য রাখেন।

প্রিয় সংবাদ/হিরা/শান্ত