কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গোলকুন্ডার হীরার খনি থেকে পাওয়া হীরা। ছবি: সংগৃহীত

গোলকুন্ডার হীরার দাম এত বেশি কেন?

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:২৯
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:২৯

(প্রিয়.কম) হীরা হলো সর্বাপেক্ষা মূল্যবান একটি রত্ন, যা গহনা তৈরিতে বহুল ব্যবহৃত হয়। বর্ণহীন এ রত্নটি একটি মাত্র বিশুদ্ধ উপাদান কার্বন থেকে সৃষ্ট। অন্য ভাষায় হীরক কার্বনের একটি বিশেষ রূপ মাত্র। কথিত আছে, হীরক সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে মূল্যবান হিসেবে খনি থেকে উত্তোলন ও ব্যবহার করা শুরু হয়। ১৮০০ শতকে ভারতের হায়দরাবাদ ছিল বিশ্বের একমাত্র হীরার খনি! কিন্তু গোলকুন্ডার হীরার খনি থেকে পাওয়া হীরার দাম এত বেশি কেন?

কোহিনুরের মতো বিতর্কিত হীরাও এখন তেলেঙ্গানার গোলকুন্ডা থেকে আহরিত। দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে একমাত্র গোলকুন্ডার হীরার খনি বিখ্যাত ছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয় 

গোলকুন্ডা দুর্গ। ছবি: সংগৃহীত

১৬৬৩ সালে ফরাসি ভূপর্যটক তাভেরনিয়ের লিখেছিলেন, ‘গোলকুন্ডার হীরার খনি থেকে পাওয়া একেকটি হীরার মাপ একটি মুরগির ডিমের অর্ধেকের চেয়েও বেশি বড়। সুন্দর গোলাপের মতো আকৃতি ছিল গোলকুন্ডার হীরার।’

তাভেরনিয়ের আরও লিখেছেন, ‘হীরার এক দিক বেশ উঁচু। সেগুলো থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে হীরা।’ 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ নম্বর ক্যাটাগরির হীরা এতটাই খাঁটি যে অতি-বেগুনি রশ্মি হীরার মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হতে পারে। আর ২ নম্বর ক্যাটাগরির হীরা বর্ণহীন। ওই হীরাগুলোর রং বাদামি, গোলাপি, ধূসর ও নীলচে হতে পারে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, গোলকুন্ডার ৭৬ ক্যারেটের একটি হীরা ১১৮ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ১৩৭ কোটি টাকার বেশি।

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ/আজাদ চৌধুরী